মনোজ বাজপেয়ীর ফ্ল্যাটের সাজ দেখলে বিস্মিত হতে হয়। ছবি: সংগৃহীত।
আগের বছরটা মনোজ বাজপেয়ীর জন্য খারাপ ছিল না। শর্মিলা ঠাকুরের সঙ্গে ‘গুলমোহর’-এ মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এ ছবিতে মনোজের কোনও সংলাপ ছিল না। অথচ তিনি দক্ষতার সঙ্গে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন অভিনীত চরিত্রটি। ২০২৩ সালেই মুক্তি পেয়েছিল ‘সির্ফ এক বান্দা কাফি হ্যায়’। সম্প্রতি কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসা অর্জন করেছে ‘জোরাম’ও। বছর কয়েক আগে মনোজ পা রেখেছেন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। অভিনয় করেছেন রাজ এবং ডিকের তৈরি ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ সিরিজ়ে। সেই সিরিজ়ের তৃতীয় অধ্যায়ের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন দর্শক। বলিউডে প্রায় তিনদশক কাটিয়ে দিয়েছেন অভিনেতা। এত দিনে দর্শক বুঝে গিয়েছেন মনোজ যথেষ্ট শৌখিন। সেটা কিছুটা বোঝা যায় তাঁর নিপুণ অভিনয় দেখে। আর বাকিটা বিশ্বাস করতে অভিনেতার ১০ কোটি টাকার বিলাসবহুল আস্তানা দেখে। ২০০৭ সাল থাকে স্ত্রী শাবানা রাজ়া বাজপেয়ী এবং কন্যা অভা নায়লার সঙ্গে লোখন্ডওয়ালার ওবেরয় টাওয়ার্সের এই ফ্ল্যাটে থাকেন অভিনেতা। তিন কামরার ফ্ল্যাটের সাজ দেখলে বিস্মিত হতে হয়। নিজের হাতেই ফ্ল্যাট সাজিয়েছেন মনোজ-জায়া। ফ্ল্যাটের বিভিন্ন দেওয়াল ঝুলছে বিখ্যাত শিল্পীদের হাতা আঁকা ছবি। ফ্ল্যাটের মেঝেটা পুরোটাই কাঠের তৈরি।
মনোজ এবং স্ত্রী দু’জনেই চেয়েছিলেন ফ্ল্যাটের আসবাবগুলি যেন সবচেয়ে আলাদা হয়। তাই দিল্লির শিল্পীকেই দিয়েই নকশা করিয়েছেন প্রতিটি আসবাব। অভিনয়ের পাশাপাশি বই পড়তেও ভালবাসেন মনোজ। বা়ড়ির লাইব্রেরিতে ঠাসা বইগুলিই তার প্রমাণ। শুটিং না থাকলে দিনের অধিকাংশ সময় সেখানেই কাটান তিনি। বই পড়ার সময় নাকি আর কোনও দিকে হুঁশ থাকে না তাঁর।
শত ব্যস্ততা থাকলেও বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় ভগবানের আশীর্বাদ নিতে ভোলেন না মনোজ। ফ্ল্যাটে ঢুকতেই একটি ছোট মন্দির আছে। শুটিংয়ে যাওয়ার আগে সেখানেই কিছু ক্ষণ কাটান অভিনেতা।