‘মিঁয়াও’ শুনেও কেন সাড়া দেয় না বেড়াল? ছবি- সংগৃহীত
এতই বেড়াল ভালবাসেন যে স্থান-কাল-পাত্র না দেখেই রাস্তাঘাটে, বাড়ির পাঁচিলে তাদের দেখলেই নকল করে ‘মিঁয়াও’ ডাকে ডেকে ওঠেন। তৎক্ষণাৎ সে-ও আপনার ডাক শুনে থমকে ঘুরে দাঁড়ায়। কিন্তু ঘড়ি ধরে কয়েক সেকেন্ড মুখের দিকে তাকিয়ে, পাত্তা না দিয়ে চলে যায়।
বেড়াল নাকি খুব একটা সামাজিক নয়। ছবি- সংগৃহীত
ফ্রান্সের একটি গবেষণাপত্রের দাবি, এই যে আপনার ভালবাসার ডাকে বেড়ালের পাত্তা না দেওয়া, তার কারণ হল বেড়ালের আপনাকে চিনতে পারা। বেড়াল মানুষের ডাক চেনে। কোন দিক থেকে ডাক আসছে, তার উৎসও ঠাহর করতে পারে। তবে অনেকের মধ্যে থেকে আলাদা করে ডাক চিনতে পারে না।
আগে মানুষের ধারণা ছিল, বেড়াল নাকি খুব একটা সামাজিক নয়। একে তো ‘স্বাধীনচেতা’, তার উপর আবার ‘অকৃতজ্ঞ’ বলে বদনামও আছে এই চারপেয়েদের। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা পুরো ধারণাটাই বদলে দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বেড়ালরা মাছ, খেলনার চেয়েও মানুষের সঙ্গ বেশি পছন্দ করে।
এই গবেষণার উদ্দেশ্যই ছিল, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ডাকে সাড়া দেওয়া ও চেনা মানুষের ডাকে সাড়া দেওয়া এবং অচেনা মানুষের ডাকে সাড়া না দেওয়ার রহস্য উন্মোচন করা।
১৬টি পোষা বেড়ালের উপর কখনও তাদের চেনা জায়গায় অন্য মানুষের সঙ্গে রেখে, কিছু বেড়ালকে শুধু মাত্র মহিলাদের সঙ্গে রেখে, আবার কিছু পোষ্যকে হুবহু তাদের চেনা মানুষের স্বরের নকল শুনিয়ে বিভিন্ন ভাবে পরীক্ষা করে দেখা হয়, তাদের প্রতিক্রিয়া।
গবেষণা শেষে জানা গিয়েছে, বেড়ালরা প্রত্যেক মানুষের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলতে পছন্দ করছে। বিশেষ করে মহিলাদের সঙ্গে। এমনকি, মেয়েদের নাম শুনে তারা মনে রাখতে পারছে এবং পরবর্তীকালে চিনতেও পারছে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা।