১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সি ৪০০০ জনকে নিয়ে সমীক্ষাটি করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘ডিগনিফাই’। ছবি: শাটারস্টক।
১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের মধ্যে বাড়ছে পর্ন ছবি দেখার প্রবণতা। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের স্কুলপড়ুয়াদের নিয়ে হওয়া একটি সমীক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, নাবালক-নাবালিকার মধ্যে শুধু নীল ছবি দেখার আগ্রহই বাড়ছে না, তারা রীতিমতো আসক্ত হয়ে পড়ছে।
ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এমন প্রবণতা ভাল চোখে দেখছেন না স্কুলের শিক্ষকরাও। তাঁরা আশঙ্কা করছেন যে, এই প্রবণতা কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে যৌনতা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার আগ্রহও বাড়াচ্ছে। এর ফলে তাঁরা অজান্তেই নিজেদের শারীরিক ক্ষতি করে বসছে। কয়েকটি স্কুলের প্রধানশিক্ষকের মতে, হিংসাত্মক যৌন ভিডিয়োগুলির প্রভাবে যৌন নির্যাতনের ঝুঁকিও অনেক বাড়ছে, যা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। সরকারকে এই বিষয়টি আরও গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে।
যৌন নির্যাতনে আক্রান্ত যুবক-যুবতীর নিয়ে কাজ করে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘ডিগনিফাই’। ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সি ৪০০০ জনকে নিয়ে সমীক্ষাটি করেছে তারাই। সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, এদের মধ্যে ২২ শতাংশ কিশোর-কিশোরী পর্ন ছবি দেখার কথা স্বীকার করেছে। প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে এক জন মাঝেমধ্যেই নীল ছবি দেখে। প্রতি দশ জনের মধ্যে এক জন পর্ন দেখার প্রতি আসক্ত। যৌন ভিডিয়ো দেখে সেই মতো নানা ধরনের যৌন ক্রিয়াকলাপেও অংশ নেয় তারা।
পর্ন দেখার ফলে ছোট থেকেই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে হিংসাত্মক আচরণও বাড়ছে। ছবি: শাটারস্টক।
সমীক্ষায় কিশোর-কিশোরীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, তারা কত বছর বয়সে প্রথম বার নীল ছবি দেখেছে? তাদের এক জন জানিয়েছে, ৩ বছর বয়সে প্রথম নীল ছবি দেখেছে সে। বাকিরা যারা সমীক্ষায় পর্ন দেখার কথা স্বীকার করেছে তারা গড়ে ১২ বছর বয়সে প্রথম নীল ছবি দেখে।
‘ডিগনিফাই’ সংস্থার সিইও হেলেন রবার্ট বিষয়টি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। এর ফলে ছোট থেকেই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে হিংসাত্মক আচরণও বাড়ছে বলে মনে করেন তিনি। হেলেন বলেন, ‘‘পর্ন ছবি দেখা নিয়ে আমাদের সমীক্ষায় যে উত্তর এসেছে, তা যথেষ্ট উদ্বেগের। তবে আমাদের আশঙ্কা, আদতে যারা নিয়মিত পর্ন দেখে, তাদের মধ্যে অনেক ছাত্রছাত্রী সে কথা স্বীকারই করেনি। সে ক্ষেত্রে কিন্তু অঙ্কটা আরও বাড়বে।’’