কম বয়সেই রহস্যমৃত্যু তরুণী মডেলের। ছবি: সংগৃহীত।
সমাজমাধ্যমে পরিচিত মুখ। অনুরাগীর সংখ্যা ৫৬ হাজার। ৩০ বছর বয়সি মডেলের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তাঁর অনুরাগী মহলে। ইয়র্কশায়ারের বাসিন্দা মৃত ওই মডেলের নাম জেহেন থমাস। হঠাৎ এমন মৃত্যুর খবরে অবাক হয়েছেন অনেকেই। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই মৃত্যু হয়েছে মডেলের। তবে ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে আসল কারণ।
বেশ কিছু বছর ধরে মডেলিং-এর পেশার সঙ্গে যুক্ত জাহেন। সেই সঙ্গে তিনি সমাজমাধ্যম প্রভাবী হিসাবেও পরিচিত। নিজেকে ‘কন্টেন্ট ক্রিয়েটর’ বলে পরিচয়ও দিতেন তিনি। তাঁর একটি ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে। জেহেন বিবাহিত। তাঁর দুই ছেলেও রয়েছে। মারা যাওয়ার আগের দিন জেহেন তাঁর চ্যানেলে একটি পারিবারিক ভ্লগ ভাগ করে নিয়েছিলেন। সেখানে দুই ছেলের জন্য খাবার বানানো থেকে ঘর গোছানো, নানা ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল জেহেনকে। তার পরের দিনই জেহেনের মৃত্যুর খবর স্বাভাবিক ভাবেই মেনে নিতে পারেননি অনেকেই।
মডেলিং করতেন মানে ধরে নেওয়া যায়, পেশাগত কারণে জেহেনকে ফিট থাকতেই হত। শরীরের যত্ন নেওয়া সত্ত্বেও কী ভাবে এত কম বয়সে মারা গেলেন তিনি, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জলঘোলা। অনেকেই এই মৃত্যুর নেপথ্যে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন। তবে পরিবার সূত্রে খবর, মাইগ্রেনের একটা ক্রনিক সমস্যা ছিল জেহানের। ছোটবেলা থেকেই এই মাইগ্রেনের ব্যথায় ভুগতেন তিনি। বয়স বাড়লে সেই সমস্যা ধীরে ধীরে কমে গিয়েছিল। তবে কয়েক মাস আগে থেকেই মাইগ্রেন আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। জেহানের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা জানিয়েছেন, এমন অনেক দিন গিয়েছে যন্ত্রণার কারণে বিছানা থেকে উঠতে পারেননি তিনি। ওষুধ খেলে কিছু দিন ভাল থাকতেন। তার পর আবার যে কে সেই।
জেহান নিজেও এই বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দিতেন না। যন্ত্রণা হলেই ওষুধ খেয়ে নিতেন। সেই অবহেলা যে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবে, তা বোধ হয় নিজেই বুঝতে পারেননি জেহান। তাই এই পরিণতি। তবে জেহানের অনেকে বন্ধুরা বিশ্বাস করতে পারছেন না, যে মাইগ্রেনের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃত মডেলের বন্ধুবৃত্তের অনেকেরই অবশ্য মনে হয়েছে, এর নেপথ্যে অন্য কারণ রয়েছে। পুলিশের কাছে তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।