নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর জন্ম শতবার্ষিকী উদ্যাপন কমিটির সদস্যেরা। ছবি: ব্রাত্য বসুর ফেসবুক পেজ।
এ বছর কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর জন্মশতবর্ষ। আগামী ১৯ অক্টোবর শতবর্ষে পা দেবেন ‘নীল নির্জন’-এর কবি। তাঁর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা করা হয়েছে। পরিকল্পনা এবং উদ্যাপন উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য গঠিত হয়েছে এক বিশেষ কমিটি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন’ কমিটির ডাকা সাংবাদিক বৈঠকে আলোচিত হল শতবর্ষ উদ্যাপনের পরিকল্পনা। এই কমিটির সভাপতি পদে রয়েছেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। সহ-সভাপতিমণ্ডলীতে রয়েছেন জয় গোস্বামী, সুবোধ সরকার, ইন্দ্রনীল সেন এবং ব্রাত্য বসু। তবে এ দিনের আলোচনায় অবশ্য সুবোধ সরকার এবং জয় গোস্বামী উপস্থিত ছিলেন না। কবির পরিবার থেকে উপস্থিত ছিলেন তাঁর তিন সন্তান। জ্যেষ্ঠ পুত্র কৃষ্ণরূপ চক্রবর্তী, মধ্যম কন্যা সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কনিষ্ঠ কন্যা শিউলি সরকার। এই আলোচনার সূত্রধার ছিলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শতবর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে কোথায় কী হচ্ছে, সেটা বিস্তারিত জানালেন তিনি।
এই কমিটি গঠনের মূল উদ্দেশ্যে হল, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নানা যে কর্মকাণ্ড ঘটছে, তার মধ্যে কিছুটা হলেও সংহতি স্থাপনের একটা প্রয়াস। বহু লিটল ম্যাগাজিন, কবিতা ও আবৃত্তির ক্ষেত্রে যুক্ত বিভিন্ন সংস্থা ইতিমধ্যেই কবির জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন শুরু করেছে। উদ্যাপনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলা আকাদেমি এবং সাহিত্য অকাদেমিও। সর্বভারতীয় সংস্থা সাহিত্য অকাদেমি আগামী ১৮ এবং ১৯ ফেব্রুযারি নীরেন্দ্রনাথকে নিয়ে একটি আলোচনাচক্রের আয়োজন করেছে।
এ ছাড়াও ‘কলকাতার যিশু’র স্রষ্টার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মেকার্স অফ ইন্ডিয়ান লিটারেচার’ নামক সিরিজ়ে নীরেন্দ্রনাথের উপর একটি শতবার্ষিকী পুস্তিকা প্রকাশিত হবে। বাংলা আকাদেমি সারা বছর ধরেই নীরেন্দ্রনাথকে নিয়ে নানা উদ্যাপনে ব্যস্ত থাকবে। এ ছাড়াও নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর জীবন, কাজ নিয়ে একটি স্মারক গ্রন্থ প্রকাশেরও উদ্যোগ নিয়েছে বাংলা আকাদেমি। এবং উদ্যাপনের উপসংহার পর্বে যে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে, সেখানে সমসময়ের ইতিহাসের প্রেক্ষিতে কবিতা ও তাতে নীরেন্দ্রনাথের ভূমিকা নিয়ে বক্তৃতা করবেন ইতিহাসবিদ দীপেশ চক্রবর্তী।