Electric Wires

মুখে খোলা তার ঢুকিয়ে কেরামতি, শিরায় শিরায় বইছে বিদ্যুৎ, কী ঘটল তার পর?

‘বৈদ্যুতিক শক’ সহ্য করে নেবে এমন মানুষ বিরল। কিন্তু এই যুবক তার ব্যতিক্রম।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২৪ ১৮:৫৩
Share:

খোলা বিদ্যুতের তার মুখে পুরেছেন যুবক। ছবি: সংগৃহীত।

বর্ষা এলেই অবধারিত ভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে শহরে। ২০২২ সালে হরিদেবপুরে এবং তার আগের বছর রাজভবনের কাছে বাতিস্তম্ভের খোলা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা তো নাড়িয়ে দিয়েছিল শহরকে। কখনও ছেঁড়া তার, আবার কখনও রাস্তাঘাটে মাথার উপর ঝুলতে থাকা জট পাকানো কেবল তারে বিপদ ঘটে অহরহ। বিদ্যুৎ পরিবাহী তার শরীরের সংস্পর্শে এলেই তীব্র ঝটকা খেতে হবে। ‘বৈদ্যুতিক শক’ সহ্য করে নেবে এমন মানুষ বিরল। কিন্তু এই যুবক তার ব্যতিক্রম। খোলা বিদ্যুৎবাহী তার দিব্যি মুখে পুরে কেরামতি দেখাচ্ছে, ঝটকা লাগা তো দূর, সামান্য কম্পনও হচ্ছে না তাঁর শরীরে।

Advertisement

এমনই আজব ঘটনা ঘটেছে। ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে এক যুবক বিদ্যুতের দু’টি তার মুখে পুরে দিব্যি মিটিমিটি হাসছেন। যুবকের নাম রাজু মালা। তিনি নিজেই ভিডিয়োটি তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে আপলোড করেন। তার পর সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, রাজু প্রথমে বাড়ির মিটারের সঙ্গে বিদ্যুতের দু’টি তার যোগ করেন। তার পর সেই তার দু’টির খোলা মুখ নিজের মুখে পুরে নেন। রাজুর শরীরে বিদ্যুৎ যাচ্ছে কি না, তা প্রমাণ করতে ‘টেস্টার’ (বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে কি না, তা বোঝার যন্ত্র) দিয়ে পরীক্ষা করেন আরও এক জন। দেখা যায়, রাজুর দুই হাতে টেস্টার ছোঁয়ালেই তাতে আলো দপদপ করছে। অর্থাৎ, রাজুর শিরায় শিরায় যে বিদ্যুতের প্রবাহ চলছে, তা অস্বীকার করার কোনও উপায়ই নেই। রাজু নিজেই জানিয়েছেন, ২৪০ ভোল্ট বিদ্যুতের ঝটকা সহ্য করেছেন তিনি। শরীরে কোনও প্রভাবই নাকি পড়েনি।

Advertisement

মানুষের শরীর বিদ্যুতের উত্তম পরিবাহী। বিদ্যুতের সংস্পর্শে এলে আমাদের শিরায়-উপশিরায় বিদ্যুতের প্রবাহ শুরু হয়। যত বেশি ভোল্ট বিদ্যুৎ শরীরে ঢুকবে, ততই শরীর গরম হতে থাকবে। ভিতর থেকে পুড়তে শুরু করবে মাংসপেশি। এটাই বিদ্যুতের শক আর এতেই মৃত্যু হয় মানুষের। সেখানে রাজু কী ভাবে এত বেশি ভোল্টেজের বিদ্যুৎ সহ্য করলেন, সেটাই আশ্চর্যের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement