কী বললেন ইলন মাস্ক? —ফাইল চিত্র।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে অনেকের মতোই চিন্তিত ‘স্পেস-এক্স' (সাবেক টুইটার) কর্তা ধনকুবের ইলন মাস্ক। বহু বার তাঁর বিভিন্ন মন্তব্যে সেই চিন্তার প্রতিফলন পাওয়া গিয়েছে। এ বার তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, এই প্রযুক্তি কালক্রমে সকলের চাকরি কেড়ে নেবে। তবে এআই-এর এই দাপটকে তিনি ক্ষতিকর বলে মনে করছেন না। প্রযুক্তি সংক্রান্ত এক আলোচনাসভায় এ কথা বলেন তিনি।
এআই-এর কারণে কর্মহীন হয়েছেন অনেকেই। বিভিন্ন ক্ষেত্রের এক বিশাল সংখ্যক মানুষের কর্মহীন হওয়ার আশঙ্কা ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু এআই কতটা সুরক্ষিত, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ইলন। তিনি জানিয়েছিলেন, যত ক্ষণ পর্যন্ত জানা যাচ্ছে না যে, এআই কতখানি সুরক্ষিত, তত ক্ষণ পর্যন্ত এই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ বন্ধ রাখা হোক। তবে তাঁর সাম্প্রতিক বক্তব্যের সপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন মাস্ক। তিনি বলেছেন, ‘‘রক্তমাংসের মানুষের পক্ষে যে কাজগুলি করা সম্ভব নয়, সেগুলিও অনায়াসে করে ফেলতে পারে রোবট। আদেশকর্তার মনের মতো কাজ করতে পারবে তারা। কৃত্রিমতার ছোঁয়া থাকলেও প্রতিটি কাজ হবে ত্রুটিহীন। ফলে এআই ব্যবহার করে কাজ করানোতেই আগ্রহী হবেন বেশির ভাগ লোক।’’
বিগত কয়েক বছরে এআই- এর প্রভাব যে ভাবে দ্রুত হারে বেড়েছে, তাতে এই প্রযুক্তি কী ভাবে ব্যবহৃত হবে, তা নিয়ে এখনও সংশয়ে রয়েছে বিভিন্ন সংস্থা। সময় গড়ালে এআই কী ভাবে শিল্প এবং চাকরি ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে, তা নিয়েও উদ্বেগ অব্যাহত রয়েছে। আমেরিকার এমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর একটি গবেষণা জানাচ্ছে, যতটা আশঙ্কা করা হচ্ছিল, বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে তার চেয়েও বড় জাল বিস্তার করছে এআই। কিন্তু যে সব কাজ মানুষের অংশগ্রহণ ছাড়া অসম্পূর্ণ, সেই কাজগুলি করার ব্যাপারে এআই কোনও ভাবেই বিকল্প হতে পারে না, মত গবেষকদের। এআই নিয়ে এ বারও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মাস্ক। এআই নিয়ে বলতে গিয়ে মাস্ক লেখন ইয়ান ব্যাঙ্কসের ‘কালচার বুক’ সিরিজ়ের বইগুলির কথা বলেন। কারণ, এই বইগুলিতে ভবিষ্যতে এআই-এর সম্ভাব্য চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।