আলাপচারিতার সময়ে কেমন হবে আপনার আচরণ, অভিব্যক্তি ছবি: ফ্রিপিক।
অপরিচিত হোন বা স্বল্পপরিচিত, আলাপচারিতার সময়ে কথাবার্তায় সংযম ও সহবত বজায় রাখা খুবই জরুরি। কেউ অপরিচিতদের সঙ্গে কথা বলতে একেবারেই স্বচ্ছন্দ নন, অথবা বুঝে উঠতে পারেন না, যে প্রথম আলাপে কী বলবেন। আবার কেউ বেশি বা অপ্রয়োজনীয় কথা বলে ফেলেন। অজান্তেই এমন কিছু সংবেদনশীল কথা বলেন অথবা সামনের জনের ব্যক্তিগত পরিসরে নাক গলিয়ে ফেলেন যে, প্রথম আলাপেই অপরের বিরাগভাজন হতে হয়। তাই ব্যক্তিগত সম্পর্ক হোক বা পেশাগত ক্ষেত্র, আলাপচারিতার সময়ে কী কী খেয়াল রাখা উচিত, তা জেনে নেওয়াই ভাল।
আবেগ-অনুভূতিতে নিয়ন্ত্রণ জরুরি
কথোপকথনের সময়ে খেয়াল রাখতে হবে, কার সঙ্গে কথা বলছেন। যদি সম্পর্ক ব্যক্তিগত হয়, তা হলেও অতিরিক্ত আবেগ বা উচ্ছ্বাস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। অযাচিত ভাবে ‘উপদেশ’ না দেওয়াই ভাল। আবার সব কথায় সম্মতিসূচক ভাবে মাথা নাড়াও কাজের কথা নয়। যুক্তি ও বিবেচনা অনুযায়ী কথা বলা উচিত। পেশাগত ক্ষেত্রে আবেগ-অনুভূতির জায়গা সীমিত রেখে কাজ সংক্রান্ত কথা বলাই প্রয়োজন।
বোঝান, আপনিও ‘শ্রোতা’
সামনের জন কিছু বললে, তা মন দিয়ে শোনা জরুরি। কথার মাঝে অপ্রয়োজনীয় কথা বলবেন না। বোঝান যে, আপনিও তাঁর কথায় গুরুত্ব দিচ্ছেন। মুখোমুখি কথোপকথনের সময়ে বার বার নিজের ফোন দেখাও বদভ্যাস। যদি সেই সময়ে ফোনে কথা বলা বা মেসেজ পড়া জরুরি হয়, তা হলে তাঁর থেকে সময় চেয়ে নিন।
বাচনভঙ্গি, অভিব্যক্তি ঠিক রাখেন তো?
যদি সামনের জনের কথা বা সঙ্গ ভাল না লাগে, তা হলেও এমন কিছু আচরণ করবেন না, যা সহবতের সীমা লঙ্ঘন করে। রুক্ষ স্বরে কথা বলা, তির্যক মন্তব্য করা ঠিক নয়। হাসিমুখেই বলুন, আপনি তাঁকে পরে সময় দেবেন। সামনের জনের চোখে চোখ রেখে কথা বলাও জরুরি। দেহভঙ্গি হতে হবে ইতিবাচক। যাতে সামনের জনের মনেও আপনার প্রতি শ্রদ্ধা জন্মায়।
অতিরিক্ত কথা বলবেন না
যতটুকু দরকার, ঠিক ততটুকুই কথা বলুন। অপরিচিত বা স্বল্প পরিচিত জনের সঙ্গে কথা মেপে বলাই ভাল। অতিরিক্ত কথা, নিজের ব্যক্তিগত কথা বলে ফেলা ঠিক নয়। বেশি কৌতুক করা বা তাঁকে নিয়ে মজা করা থেকেও বিরত থাকুন। হয়তো মজার ছলেই এমন কিছু বলে ফেললেন, যা তাঁকে আঘাত করতে পারে।