Cinemal Hall Etiquette

রোমাঞ্চকর দৃশ্যের মধ্যে ফোন বাজলেই বিরক্তি, প্রেক্ষাগৃহে কোন কাজগুলি করবেন না?

প্রেক্ষাগৃহে ছবি দেখতে গেলে কিছু আদবকায়দা জানা জরুরি। কোন কোন জিনিস খেয়াল রাখা দরকার?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০২৪ ১৫:২৪
Share:

প্রেক্ষাগৃহে ছবি দেখতে গেলে কোন কোন জিনিস খেয়াল রাখা দরকার? ছবি: ফ্রি পিক।

প্রেক্ষাগৃহে ছবি চলাকালীন মোবাইল বেজে ওঠা, লোকের জোরে জোরে কথা বলা, মোবাইলের আলো জ্বলে ওঠা ভীষণই বিরক্তকর। হয়তো টান টান উত্তেজনার কোনও দৃশ্য চলছে, আমকা সশব্দে কারও ফোন বেজে উঠল। পুরো মেজাজটাই নষ্ট। কেউ হয়তো আবার নির্দিষ্ট আসনে বসেই সঙ্গীর সঙ্গে ফিসফিসিয়ে সিনেমা নিয়ে গল্প জুড়ে দেন। তাতে যে অন্য দর্শকের অসুবিধা হতে পারে, সে হুঁশ থাকে না। কোনও না কোনও সময়ে কেউ না কেউ এমন সব অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন নিশ্চই। তাই প্রেক্ষাগৃহে সিনমো দেখতে গেলে কিছু আদবকায়দা মেনে চলাটাও জরুরি।

Advertisement

সময়ে যাওয়া

প্রেক্ষাগৃহে সময়ে পৌঁছনোটাও কিন্তু খুব জরুরি। কারও মনে হতেই পারে, তিনি টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছেন, তাই শেষের ১০ মিনিট সিনেমা দেখবেন, না পুরোটাই দেখবেন তাঁর ব্যাপার। এ নিয়ে তর্কও জুড়ে দিতে পারেন। কিন্তু কেউ যদি দেরি করে আসেন, বিশেষত ছবি শুরুর পর, তাঁকে কিন্তু অন্য দর্শকাসনের সামনে দিয়ে তাঁর জন্য নির্দিষ্ট আসনে বসতে হবে। এ দিকে সেই দর্শককে অন্ধকার প্রেক্ষাগৃহে নির্দিষ্ট আসনে পৌঁছে দিতে, টর্চ জ্বালানোরও প্রয়োজন হতে পারে। অন্যের আসনের সামনে দিয়ে যাওয়া, এবং সে কারণে আলো জ্বালাতে হলে, অন্য দর্শকের অসুবিধা হবে। সেটা কিন্তু ভুললে চলবে না।

Advertisement

ফোন

মোবাইল ফোনটি প্রেক্ষাগৃহে ঢুকেই ‘সাইলেন্ট’ করে দিন। ছবি শুরু হওয়ার পর আচমকা ফোনটি বেজে উঠলে আপনি নিজেও কিন্তু বিব্রত হয়ে উঠবেন। কারণ, অসংখ্য বিরক্তিভরা চোখ কিন্তু আপনার দিকেই থাকবে। তার চেয়ে ভাল, সেই পরিস্থিতি যেন তৈরি না হয়। খুব প্রয়োজন না হলে, মোবাইল খুলে বার্তা পাঠাতেও যাবেন না। এতেও অন্ধকার প্রেক্ষাগৃহে মোবাইলের আলো বেশ চোখে লাগে। অন্যদের অসুবিধা হয়।

কথা বলা

প্রেক্ষাগৃহে ছবি চলাকালীন নিজেদের মধ্যে কথা বলাটাও সঠিক আদবকায়দা নয়। সকলেই সেখানে টিকিট কেটে ছবি দেখতে গিয়েছেন। অন্যের কথা বলার জন্য তাঁদের ছবি দেখতে অসুবিধা হতে পারে। কেউ কেউ আবার প্রেক্ষাগৃহে বসেই আসন্ন ছবি বা সেই নায়ক-নায়িকাকে নিয়ে কথা বলা শুরু করে দেন। কেউ আবার উত্তেজিত হয়ে বলতে শুরু করেন, এর পর কী হতে পারে। প্রেক্ষাগৃহ কিন্তু নিজের বাড়ি নয়। তাই এই ধরনের কথোপকথন সেখানে বসে বলাটা সঠিক নয়।

আচরণ

অনেকেই ‘মুভি ডেট’-এ যান। কেউ কেউ প্রেক্ষাগৃহে এমন কিছু আচরণ করেন, যা পাশের দর্শকের পক্ষে অস্বস্তিকর। হাতে হাত রেখে ছবি দেখা যেতেই পারে, কিন্তু আচরণে এমন কিছু না থাকাই ভাল যাতে অন্যের অসুবিধা হয়। কারণ, এটা কিন্তু বহু মানুষের ছবি উপভোগের জায়গা।

শিশু

শিশুদের দেখার মতো ছবি না হলেও অনেকে তাঁদের নিয়ে যান। দীর্ঘ ক্ষণ অন্ধকার ঘরে বসে থাকার ধৈর্য তাদের থাকে না। চিলচিৎকার জুড়ে দেয় তারা। এমন সম্ভাবনা থাকলে, শিশুদের না নিয়ে যাওয়াই ভাল। কারণ, এতে কারওরই লাভ হয় না। অন্য দর্শকের তো অসুবিধা হয়ই, শিশুর অভিভাবকও কিন্তু শান্তিতে সেই ছবি দেখতে পান না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement