প্রশ্ন: স্নাতক স্তরে সাইকোলজি নিয়ে পড়ছি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া আর কোথায় মনোবিজ্ঞান নিয়ে উচ্চশিক্ষা করতে পারি? যদি স্নাতক স্তরের পরে স্নাতকোত্তর না পড়ে অন্য কিছু করতে চাই, তা কি করা যাবে?
আত্রেয়ী দে, দমদম
স্নাতক স্তরের পরে পশ্চিমবঙ্গের ভিতরে বা বাইরে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হওয়া যায়। পশ্চিমবঙ্গে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (www.caluniv.ac.in, মনোবিজ্ঞান ও ফলিত মনোবিজ্ঞানের দুটি বিভাগ আছে) ছাড়াও যে সব প্রতিষ্ঠানে স্নাতকোত্তর পড়া যায় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল—
• ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি
www.wbsubregistration.org
• আসানসোলের কাজী নজরুল ইউনিভার্সিটি
www.knu.ac.in
• ইন্দিরা গাঁধী ওপেন ইউনিভার্সিটি
http://rckolkatta.ignou.ac.in ইত্যাদি
• এ ছাড়া কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কিছু কলেজেও স্নাতকোত্তর কোর্স চালু হয়েছে।
• এনএসএইচএম-এও এখন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি-তে এম এসসি পড়ানো হয়।
(www.nshm.com/course/m-sc-clinical-psychology)
অন্যান্য কোর্স ও ডিগ্রি
যারা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি চায় না, তারা রিহ্যাবিলিটেশন সাইকোলজির স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হতে পারে। রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার http://rehabcouncil.nic.in/ অধীন এই কোর্সে রিহ্যাবিলিটেশন সাইকোলজিস্ট হিসেবে রেজিস্ট্রেশন নম্বর পাওয়া যায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত মনোবিজ্ঞান বিভাগে এবং ভারতবর্ষের আরও কিছু প্রতিষ্ঠানে এই ডিপ্লোমা কোর্স চলে। রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে খোঁজ পাওয়া যাবে। এ ছাড়া বিভিন্ন কাউন্সেলিং কোর্সও আছে, যদিও তার সবগুলি সমান নয়।
মানসিক রোগের চিকিৎসার বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে মনঃসমীক্ষণ (সাইকোঅ্যানালিসিস) অন্যতম। কলকাতার ভারতীয় মনঃসমীক্ষণ সংস্থার (ইন্ডিয়ান সাইকোঅ্যানালিটিকাল সোসাইটি) অফিসে মনঃসমীক্ষণ শেখার জন্য যোগাযোগ করা যায়।
ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিতে এম ফিল করলে রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার রেজিস্ট্রেশন নম্বর পাওয়া যাবে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও কয়েকটি প্রধান কেন্দ্র হল—
• বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেল্থ অ্যান্ড নিউরোসায়েন্সেস
NIMHANS, http://www.nimhans.ac.in
• রাঁচির সেন্টাল ইনস্টিটিউট অব সাইকায়াট্রি
http://cipranchi.nic.in ও
• রাঁচি ইনস্টিটিউট অব নিউরো-সাইকায়াট্রি অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস
RINPAS, http://rinpas.nic.in
• দিল্লির ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান বিহেভিয়র অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস
IHBAS, http://www.delhi.gov.in/wps/wcm/connect/DOIT_IHBAS1/ihbas/home ইত্যাদি।
• মনিপাল, গাঁধীনগর, রায়পুর, তেজপুর ইত্যাদি জায়গায় ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিতে এম ফিল করা যায়।
এম ফিল করা যায়—
• ফরেনসিক সাইকোলজিতে (যেমন গুজরাত ফরেনসিক সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটি, www.gfsu.edu.in/)
• রিহ্যাবিলিটেশন সাইকোলজিতে (যেমন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর দ্য মেন্টালি হ্যান্ডিক্যাপ্ড, হায়দরাবাদ, http://niepid.nic.in/)
• মনঃসমীক্ষণমূলক সাইকোথেরাপিতে (যেমন দিল্লির অম্বেডকর বিশ্ববিদ্যালয়ে)।
যারা শিল্প মনোবিজ্ঞান এবং মানবসম্পদ বিকাশের ক্ষেত্রে আগ্রহী, তাদের উচিত স্নাতকোত্তরে শিল্প মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়ে কোনও ম্যানেজমেন্ট ডিপ্লোমা বা ডিগ্রি করা। শিক্ষা মনোবিজ্ঞানের পরিসরও বাড়ছে, যেহেতু আজকাল অনেক স্কুলেই মনোবিদ নিয়োগ করা হচ্ছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কুল সাইকোলজির স্নাতকোত্তর পরবর্তী ডিপ্লোমা কোর্সও আছে।
এখন সোশ্যাল সাইকোলজি, কগনিটিভ সাইকোলজি, হেলথ সাইকোলজি, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি-র মতো ক্ষেত্রে দেশে বিদেশে প্রচুর গবেষণা করা যায়। অনেক আইআইটি-তে সাইকোলজি নিয়ে পিএইচ ডি করা যায়। যে সব আইআইএম-এর ছাত্রছাত্রীরা সাইকোলজিতে পিএইচ ডি করতে যায়, সেখানে তাদের বৃত্তিও দেওয়া হয়। কলকাতার ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউটে www.isical.ac.i• সাইকোলজি রিসার্চ ইনস্টিটিউট রয়েছে।