রাজ্যসভা নির্বাচনে নীতীশের পাশে লালু

নীতীশের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন লালুপ্রসাদ। বা বলা ভাল, নীতীশের পাশে দাঁড়াতে লালুপ্রসাদকে বাধ্য করল বিজেপি। আর দিনভর টানাপড়েনের পরে বিজেপিও জানিয়ে দিল জেডিইউর বিক্ষুব্ধ প্রার্থীদের সমর্থন জানাবে তারা। আজ রাতে সুশীল মোদী দলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন। দফায় দফায় দলীয় নেতা ও বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকের পর আজ বিকেলে লালুপ্রসাদ ঘোষণা করলেন, আগামী কাল বিহারে রাজ্যসভার দু’টি আসনে জেডিইউ প্রার্থী পবন বর্মা ও গুলাম রসুল বালিয়াভিকেই তাঁর দলের বিধায়করা ভোট দেবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটনা শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৪ ০৩:৩২
Share:

নীতীশের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন লালুপ্রসাদ। বা বলা ভাল, নীতীশের পাশে দাঁড়াতে লালুপ্রসাদকে বাধ্য করল বিজেপি। আর দিনভর টানাপড়েনের পরে বিজেপিও জানিয়ে দিল জেডিইউর বিক্ষুব্ধ প্রার্থীদের সমর্থন জানাবে তারা। আজ রাতে সুশীল মোদী দলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন।

Advertisement

দফায় দফায় দলীয় নেতা ও বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকের পর আজ বিকেলে লালুপ্রসাদ ঘোষণা করলেন, আগামী কাল বিহারে রাজ্যসভার দু’টি আসনে জেডিইউ প্রার্থী পবন বর্মা ও গুলাম রসুল বালিয়াভিকেই তাঁর দলের বিধায়করা ভোট দেবেন।

লালু প্রসাদ আজ বলেন, “সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিচার করে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সামাজিক ন্যায়ের কারণেই আমরা জেডিইউকে সমর্থন দিচ্ছি।” নীতীশ কুমারকে নিজের ‘ছোট ভাই’ বলে সম্বোধন করে লালু বলেন, “বড় দাদা ভাইয়ের পায়খানা, প্রস্রাবও নিজের হাতে পরিষ্কার করে থাকে। আমিও তাই করছি। পুরনো কথা না ভেবে পরিস্থিতির বিচার করতে হবে। বিজেপিকে ঠেকাতে আমি ছোট ভাইয়ের পাশেই দাঁড়াব।” কালকের নির্বাচনে দলীয় বিধায়কদের মধ্যে সমন্বয় রাখার জন্য বিধানসভায় আরজেডি নেতা আব্দুল বারি সিদ্দিকিকে নির্দেশ দিয়েছেন লালু। আজকের বৈঠকে তিনজন বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন না। লালু প্রসাদ জানান, একজন চিকিৎসার জন্য দিল্লিতে, একজন ফেরার ও তৃতীয় জন বিয়ের অনুষ্ঠানে ব্যস্ত। কাল সকালে দু’জনই বিধানসভায় যাবেন। লালুর সমর্থন পেয়ে স্বস্তিতে নীতীশও। নীতীশ বলেন, “এর জন্য আমি লালুজিকে ও আরজেডি-কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কংগ্রেস এবং সিপিআইও সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদেরও ধন্যবাদ।”

Advertisement

কাল রাজ্যসভার দু’টি আসনে উপনির্বাচন। জেডিইউ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ প্রার্থীরা হলেন অনিল শর্মা ও সাবির আলি। অনিল জেডিইউর হয়ে লোকসভায় প্রার্থী হন, সাবির আলি জেডিইউয়ের প্রাক্তন রাজ্যসভা সদস্য ও দল থেকে বহিস্কৃত। এখন বিহার বিধানসভায় ২৩২ জন বিধায়ক আছেন। তার মধ্যে জেডিইউ-১১৭, বিজেপি-৮৪, আরজেডি-২১, কংগ্রেস-৪, নির্দল-৫ এবং সিপিআইয়ের একজন বিধায়ক। জিততে প্রত্যেক প্রার্থীকেই ৫০%+১টি, অর্থাৎ ১১৭টি ভোট পেতে হবে। বিজেপির ৮৪ বিধায়ক ছাড়াও তাদের সঙ্গে রয়েছে দুই নির্দল বিধায়ক। মোট ৮৬। নীতীশের পাশে লালু এসে দাঁড়ানোয় এ বার ১১৭টি ভোট পেতে হলে বিক্ষুব্ধ জেডিইউ প্রার্থীদের সঙ্গে ন্যূনতম ৩১ জন জেডিইউ বিধায়ককে থাকতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement