এ বার আপ-এই ছাপ!
দিল্লি ভোটে দলের নেতা-কর্মীদের এই পরামর্শ দিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট।
সমস্যাটি বেশ পুরনো। প্রতিবার দিল্লিতে ভোটের আগেই সিপিএমের অন্দরমহলে প্রশ্ন ওঠে, কাকে ভোট দেওয়া হবে। কারণ, রাজধানীতে সিপিএমের অবস্থা এতটাই করুণ যে সব আসনে প্রার্থী দেওয়া সম্ভব হয় না। অন্য বাম দলগুলির অবস্থা আরও খারাপ! অথচ সাধারণ সম্পাদক থেকে শুরু করে পলিটব্যুরো, কেন্দ্রীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা দিল্লির ভোটার। তা হলে তাঁরা কাকে ভোট দেবেন? ক্যাডারদের মধ্যেও কৌতূহল তৈরি হয়। জল্পনা চলে, দলের কাণ্ডারীরা নিশ্চয়ই বিজেপিকে ভোট দেবেন না, তা হলে কি তাঁরা কংগ্রেসকে ভোট দিলেন না কি আঞ্চলিক দলের কাউকে! নেতারা ভোট না দিতে গেলেও প্রশ্ন ওঠে, সিপিএমের নেতারা কি মাওবাদীদের মতো ভোট বয়কট করছেন?
এই সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে এ বার সিপিএম নেতৃত্ব আগেভাগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন, তাঁরা আপ-এর ঝাড়ু চিহ্নেই ভোট দেবেন। আজ সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট বলেন, “যেখানে আমাদের বা অন্য বাম দলের কোনও প্রার্থী নেই, সেখানে দলের নেতা-কর্মীদের আপকেই ভোট দিতে বলা হয়েছে।”
দিল্লি বিধানসভার ৭০টি আসনের মধ্যে বাম দলগুলি মিলেও কুড়িয়ে-বাড়িয়ে ১৫টির বেশি আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি। বাকি ৫৫টি আসনেই কোনও বাম প্রার্থী নেই। সিপিএম লড়ছে মাত্র দু’টি আসনে। প্রকাশ কারাট থেকে শুরু করে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা যে বিধানসভা আসনের ভোটার, সেই নয়াদিল্লি কেন্দ্রেও কোনও বাম প্রার্থী নেই। অথচ সেই আসনেই প্রার্থী হয়েছেন আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরীবাল। আপ প্রধান অবশ্য প্রকাশ কারাটের ভোট থেকে ‘বঞ্চিত’ হবেন। কারণ বিহারে দলের রাজ্য সম্মেলনের জন্য প্রকাশ শনিবার দিল্লিতে থাকতে পারবেন না।