উপস্থিতির সংখ্যা ছিল শতাধিক। আসন সংখ্যা সহস্রাধিক। জায়গা নির্দিষ্ট থাকার পরও সভাস্থল পরিবর্তন করতে হল ছাত্র সংগঠন এনএসইউআইকে।
অসম রাজ্য এনএসইউআই সভাপতি মনোজ হাজরিকা আজ করিমগঞ্জে আসেন। ছাত্র সংগঠনের তরফ থেকে শহরের বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হয় পোস্টার। মনোজবাবু সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই তাঁর প্রথম বরাক সফর। প্রচুর ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতির আশায় করিমগঞ্জের জেলা গ্রন্থাগার প্রেক্ষাগৃহে সভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কয়েক জন পড়ুয়া সেখানে হাজিরও হয়। কিন্তু রাজ্য সভাপতি করিমগঞ্জে পৌঁছনোর পরও সভাস্থল ছিল প্রায় ফাঁকা। তার জেরে তড়িঘড়ি সভার জায়গা পরিবর্তন করা হয়।
সহস্রাধিক আসন-বিশিষ্ট জেলা গ্রন্থাগারের পরিবর্তে সভা করা হয় ইন্দিরা ভবনের ছোট সভাকক্ষে। সেখানে প্রায় শতাধিক এনএসইউআই কর্মী বসে রাজ্য সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করেন। জেলা কংগ্রেস সভাপতি সতু রায় বলেন, ‘‘বিগত বছরের বিধানসভা নির্বাচনের মতো এ বারও করিমগঞ্জে কংগ্রসকে কেউ রুখতে পারবে না। জেলার ৫টি আসনই কংগ্রেসের দখলে থাকবে।’’ তিনি দাবি করেন, রেকর্ড ভোটে জয়ী হবেন উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ। আলোচনাসভায় বিধায়ক তথা পরিষদীয় সচিব কমলাক্ষবাবু বলেন, ‘‘কোনও এক সময় বাড়ি বাড়ি থেকে চাঁদা নিয়ে এনএসইউআই চালিয়েছি। সেই দিন আর আজকের মধ্যে অনেক ফারাক।’’ তাঁর মতে, করিমগঞ্জ জেলায় কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের ভিত দৃঢ়। এনএসইউআই-র কিছু সদস্য রয়েছেন, যাঁরা বিধানসভা বা লোকসভা নির্বাচনে পৃথক দলকে ভোট দেন।