আবার অবস্থান বদল! গোঁ ধরেছিলেন জামিন নেবেন না। তিহাড় জেলে ছ’রাত্তির কাটিয়ে মত বদলে ফেললেন আম আদমি পার্টির শীর্ষনেতা অরবিন্দ কেজরীবাল। ব্যক্তিগত জামিন নিয়েই আজ জেল থেকে বাড়িতে ফিরেছেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
নিতিন গডকড়ীর করা মানহানির মামলায় জামিন না নিয়ে অরবিন্দের এই জেলযাত্রাকে বিজেপি বলেছিল অস্তিত্ব রক্ষার নাটক। প্রশ্ন উঠেছিল অরবিন্দের দলেই। গত বৃহস্পতিবার তাঁকে তিহাড় জেলে নেওয়ার পরে দলের কর্মীদের নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন যোগেন্দ্র যাদব। তিনি কিন্তু সে দিনই জামিন নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। দলের শীর্ষ নেতাদেরই দু’রকম আচরণে বিরক্ত হন আপের অন্য নেতা-কর্মীরাও। অরবিন্দের ও দলের কাজকর্মে বীতশ্রদ্ধ হয়ে আপের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম সাজিয়া ইলমি দল ছাড়েন গত রবিবার।
দলের অন্দরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়েই অবশেষে আজ জামিন নিতে রাজি হন কেজরীবাল। তাঁর তিহাড় যাত্রার আগে দিল্লির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট গোমতি মানোচা বারবার জামিন নিতে অনুরোধ করেছিলেন। হাইকোর্টেও আজ মানোচার কথারই পুনরাবৃত্তি শুনতে হয় কেজরীবালের আইনজীবীদের। বিচারপতি তাঁদের এমনও বলেন, “মক্কেলকে উচিত পরামর্শ দিচ্ছেন না আপনারা।” দিনের শেষে বিচারপতির পরামর্শ মেনেই নিজে হাতে চিঠি লিখে জামিনের আবেদন জানান কেজরীবাল। আদালতও তাঁকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয় জেল কতৃর্পক্ষকে।
গত জানুয়ারিতে কংগ্রেস, বিজেপি মিলিয়ে প্রায় এক ডজন নেতার নাম দেশের সব চেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকায় রেখে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন আপের এই শীর্ষনেতা। তাতে নাম ছিল বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি গডকড়ীরও।