প্রতীকী ছবি।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের কাছে তাদের কোভিড-১৯ প্রতিষেধক ‘জ়াইকোভ-ডি’ সরবরাহ শুরু করে দিয়েছে তারা। বুধবার এক বিবৃতি দিয়ে এই খবর জানাল ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘জ়াইডাস ক্যাডিলা’। তা ছাড়া, তাদের খোলা বাজারেও প্রতিষেধকটি আনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আমদাবাদের এই সংস্থাটি।
তিন ডোজ় বিশিষ্ট এই ভ্যাকসিন যন্ত্রণাহীন ‘ফার্মাজেট নিডল সিস্টেম’-এর মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়। প্রথম ডোজ় নেওয়ার পরে দ্বিতীয় ডোজ়টি নিতে হয় ২৮তম দিনে। আর তৃতীয় ডোজ়টি দেওয়ার কথা ৫৬তম দিনে। ‘প্লাসমিড ডিএনএ’ টিকা জ়াইকোভ-ডি শরীরে সার্স কোভ-২-এর মতোই স্পাইক প্রোটিন উৎপন্ন করে দেহের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা জাগিয়ে তোলে। ডোজ়-প্রতি এই টিকার দাম ২৬৫ টাকা ধার্য করা হয়েছে। এবং যা দিয়ে টিকাটি প্রয়োগ করা হয়, সেই জিনিসটির দাম জিএসটি বাদে ডোজ়-প্রতি ৯৩ টাকা।
এ দিকে, ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকার দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়ার কাজে গতি আনতে বুধবার রাজ্যগুলির কাছে আর্জি জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। রাজ্যের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাছে লেখা চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ লিখেছেন, ‘‘সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাছে আমার আর্জি, ১৫-১৮ বছর বয়সিদের দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়ার কাজ ত্বরান্বিত করা হোক। পাশাপাশি ওই বয়সসীমার ক্ষেত্রে যাঁদের প্রথম ডোজ় এখনও হয়নি ,তাঁদেরও সময়মতো তা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।’’
গত ৩ জানুয়ারি টিকার প্রথম ডোজ় দেওয়া হয় ৪২ লক্ষ তরুণ-তরুণীকে। কোভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছিল তাঁদের। কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে ২৮ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়ার কথা। ফলে ৩১ জানুয়ারি থেকেই তা শুরু হয়ে গিয়েছে।
এ দিকে উদ্বেগ বাড়িয়েছে কেরলের করোনা পরিস্থিতি। গত ২৪ ঘণ্টায় সে রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫২,১৯৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। তবে একটি সূত্রের দাবি, নথির অভাবে ১৩৬টি মৃত্যুর ঘটনা নথিভুক্তই করা যায়নি।