বাড়তে থাকা কোভিডের কারণে মহারাষ্ট্রে চালু হয়েছে রাত কার্ফু। রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত জরুরি পরিষেবা ছাড়া সমস্ত কিছু বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি হয়েছে। এ রকম একটি নির্দেশ জারি হওয়া নিয়েই খাবার সরবরাহকারী অনলাইন সংস্থার মধ্যে শুরু হয় বিভ্রান্তি।
বিভ্রান্তির সূত্রপাত সুইগি-কে নিয়ে। যেখানে জোম্যাটো রাত ৮টার পরও দরজায় দরজায় খাবার পৌঁছে দেওয়ার তোড়জোড় করছিল সেখানে প্রতিযোগী সুইগি খাবার পৌঁছনো বন্ধ করে দিয়েছিল। এটা জানার পর সম্প্রতি টুইটারে একটি পোস্ট করেন জোম্যাটোর সিইও দীপিন্দ্র গয়াল।
মুম্বই পুলিশকে ট্যাগ করে তিনি লেখেন, ‘মু্ম্বইয়ে রাত ৮টার পরেও খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত জোম্যাটো। কিন্তু আইনত তা করতে পারি কি না তা নিয়েই দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। আমাদের প্রতিযোগিতা রাত ৮টার পরও চলতে থাকার কথা। অনুগ্রহ করে বিষয়টি পরিষ্কার করুক মুম্বই পুলিশ।’ সঙ্গে প্রতিযোগী সুইগি-র একটি স্ক্রিন শটও জুড়ে দিয়েছেন তিনি। যাতে দেখা যাচ্ছে রাত ৮টার পর খাবার পৌঁছে দেওয়া স্থগিত রেখেছে সুইগি।
জোম্যাটো-র সিইও এই পোস্টটি করার কিছু ক্ষণের মধ্যেই মু্ম্বই পুলিশ উত্তর দিয়ে অনলাইন খাবারের অ্যাপগুলির কোভিড বিধি স্পষ্ট করে দেয়। কোনও রকম জরুরি পরিষেবার উপর বিধিনিষেধ নেই তা জানিয়ে দেয়। অনলাইন খাবারের অ্যাপগুলির ক্ষেত্রেও পরিষেবার কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই বলে জানিয়ে দেয়।
এর পর আরও একটি টুইট করে মুম্বই পুলিশকে ধন্যবাদ দেন সিইও এবং পাশাপাশি নিজের প্রথম টুইটের জন্য সুইগির কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে লেখেন, ‘আমি দুঃখিত, আর কোনও উপায় ছিল না। তোমার জন্য ভালবাসা।’