গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের পরে এ বার বুলডোজ়ার রাজনীতি অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর। আর তার নিশানা হল সদ্যপ্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সদর দফতর। শনিবার ভোরে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার নিয়ন্ত্রিত ‘ক্যাপিটাল রিজিওন ডেভেলপমেন্ট’ (সিআরডিএ) বুলডোজ়ার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিল গুন্টুর জেলার ওই দফতর।
চন্দ্রবাবু সরকারের দাবি, মঙ্গলগিরি তাড়েপল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এলাকায় বেআইনি ভাবে ওই বিশাল ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল। যদিও নয়া বিধানসভার বিরোধী দলনেতা জগন্মোহন এই ঘটনাকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ বলেছেন। চলতি মাসেই বিধানসভা ভোটে জিতে অন্ধ্রে সরকার গড়েছে তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি), জনসেনা পার্টি এবং বিজেপির জোট সরকার। টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু মুখ্যমন্ত্রী এবং জনসেনা সভাপতি পবন কল্যাণ উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।
২০১৯ সালের বিধানসভা ভোটে জগনের কাছে গো-হারা হেরে রাজ্য রাজনীতিতে গুরুত্ব হারিয়ে ফেলেছিলেন চন্দ্রবাবু। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের তহবিল কেলেঙ্কারি মামলায় জেলেও যেতে হয়েছিল তাঁকে। ৫৩ দিনের ওই জেল সফরে কার্যত তাঁর প্রতি আমজনতার সহানুভূতির ঝড় ওঠে। জগন সরকার প্রতিশোধের লক্ষ্যেই নায়ডুকে জেলে পাঠিয়েছে বলে চন্দ্রবাবুর পাশে দাঁড়ান পবনও। বিজেপি সেই জোটে শামিল হওয়ার পরে এ বারের বিধানসভা ভোটে মুখ থুবড়ে পড়ে জগনের দল।
ঘটনাচক্রে, মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার তিন সপ্তাহের মধ্যেই চন্দ্রবাবুর বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার অভিযোগ উঠল। জগন শনিবার এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘চন্দ্রবাবু প্রতিহিংসার রাজনীতিকে নতুন স্তরে নিয়ে গেলেন। স্বৈরাচারী একনায়কের মতো আমাদের দলের সদর দফতর বুলডোজ়ার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিলেন।’’ ওয়াইএসআর কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, চন্দ্রবাবুর বুলডোজার রাজনীতির বিরুদ্ধে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন। টিডিপির দাবি, জগন মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বেআইনি ভাবে মঙ্গলগিরি পাহাড়ের কোলে দু’একর জমিতে ওই বিশাল দফতর নির্মাণ করা হয়েছিল। দফতর সংলগ্ন ১৫ একর জমি ওয়াইএসআর কংগ্রেস জবরদখল করেছিল বলেও চন্দ্রবাবুর দলের দাবি।