অর্জুন এবং তাঁর দুই স্ত্রী উষারানি এবং সূর্যকলা। ছবি সৌজন্য টুইটার।
একই ছাদনাতলায় দুই প্রেমিকাকে পাশাপাশি বসিয়ে বিয়ে করলেন তেলঙ্গানার এক যুবক। এই বিয়েতে খুশি তিন জনের পরিবারই। তেলঙ্গানার ঘানপুরের ঘটনা রীতিমতো ভাইরাল নেটদুনিয়ায়।
ঘানপুরের আদিবাসী সম্প্রদায়ের যুবক অর্জুন। সদ্য বিএড পড়া শেষ করে চাকরির সন্ধান করছেন। অর্জুনের প্রণয়ের গল্পটা শুরু হয়েছিল ঠিক চার বছর আগে। পড়াশোনা করতে করতেই গ্রামেরই ঊষারানির প্রেমে পড়েন তিনি। তার পর সময় যত গড়িয়েছে ঘনিষ্ঠতাও বেড়েছে। এই সম্পর্ক যখন পেকে উঠেছে, তাঁদের জীবনের এই ‘গল্পে’ আবির্ভাব তৃতীয় জনের। তিনি হলেন সূর্যকলা।
ঊষারানির সঙ্গে প্রণয় চলাকালীনই তাঁর অগোচরে পাশেরই গ্রাম শম্ভুগদমে সূর্যকলার প্রেমে পড়েন অর্জুন। সূর্যকলা এবং ঊষারানি একে অপরকে যেমন চিনতেন না, তেমনই একই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁদের দু’জনের প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে সে বিষয়েও কোনও আঁচ পাননি তাঁরা। বরং বলা ভাল, আঁচ পেতে দেননি অর্জুন নিজেই। সুকৌশলেই দু’জনের সঙ্গে চার বছর ধরে প্রেম করে গিয়েছেন।
কিন্তু সত্যটা বেশি দিন চাপা রাখতে পারেননি অর্জুন। তাঁর বাড়ি থেকে যখন বিয়ের জন্য দেখাশোনার তোড়জোড় শুরু হয়, সমস্যাটা তৈরি হয়ে সেখানেই। তখনই সত্যিটা সামনে আসে। অর্জুন বাড়িতে জানান, তিনি দু’জনকে ভালবাসেন এবং তাঁদেরকেই বিয়ে করতে চান। ঊষারানি এবং সূর্যকলাও প্রথমে হতভম্ব হয়ে যান। ঘুণাক্ষরেও তাঁরা টের পাননি যে তাঁদের দু’জনের সঙ্গে প্রেম করছিলেন অর্জুন। তবে সত্যটা সামনে আসার পর খুব একটা আপত্তি জানাননি দু’জনের কেউই। বরং দু’জনকেই যে অর্জুন বিয়ে করতে চান সেই প্রস্তাবেও রাজি হয়ে যান ঊষারানি এবং সূর্যকলা।
গ্রামের সকলের সামনেই ছাদনাতলায় দুই প্রেমিকাকে বসিয়ে অগ্নিসাক্ষী রেখে বিয়ে করেন অর্জুন। বিষয়টি নিয়ে নেটাগরিকরা দু’ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছেন। কেউ বলেছেন, এ ধরনের প্রথাকে প্রশ্রয় দেওয়া ঠিক নয়। কেউ আবার সমর্থনও করেছেন।