আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরফ আহমেদ। ফাইল চিত্র।
জেল থেকে বেরোলেই খতম করে দেওয়া হবে। উত্তরপ্রদেশের এক পুলিশকর্তা আতিক আহমদের ভাই আশরফকে এমনই হুমকি দিয়েছিলেন বলে দাবি করলেন তাঁদের আইনজীবী বিজয় মিশ্র। আইনজীবীর দাবি, “প্রয়াগরাজ থেকে বরেলীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আশরফকে। পুলিশ লাইনে নিয়ে গিয়ে ওই পুলিশকর্তা হুমকি দেন, এ যাত্রায় বেঁচে গেলি, কিন্তু জেল থেকে বেরোনোর ১৫ দিনের মধ্যে খতম করে দেব।”
আইনজীবী দাবি করেছেন, এই হুমকির কথা তাঁকে জানিয়েছিলেন আশরফ। কিন্তু কোন পুলিশকর্তা তাঁকে হুমকি দিয়েছিলেন, সেটা জানাননি। শুধু এটুকুই জানিয়েছিলেন যে, তাঁর যদি মৃত্যু হয় বা তাঁকে যদি খুন করা হয়, একটি মুখবন্ধ খাম যেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, প্রধান বিচারপতির কাছে পৌঁছয়। ওই বন্ধ খামেই সব কিছু লেখা আছে। আশরফ আরও জানিয়েছিলেন যে, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ব্যথা উপলব্ধি করবেন।
গত ২৯ মার্চ আশরফ অভিযোগ তুলেছিলেন এক পুলিশ আধিকারিক তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছেন। সে কথা তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছেও জানিয়েছিলেন। গত ১৫ এপ্রিল খুন হন আতিক এবং আশরফ। তাঁদের পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে মারা হয়। পুলিশি হেফাজতে থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে আতিক-আশরফ খুন হলেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে আতিক-আশরফরা বড় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। কিন্তু এই ষড়যন্ত্রী কে বা কারা, তা নিয়েই জোর জল্পনা চলছে। ইতিমধ্যেই এই মামলায় সিট গঠন করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এই মামলাটি মঙ্গলবার গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্টও।