Narendra Modi

দ্বিতীয় বার ‘দূত’ পাঠাচ্ছেন মোদী, চাপে আদিত্যনাথ

সম্প্রতি যোগীকে দিল্লিতে তলব করেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২১ ০৬:৩৪
Share:

ফাইল চিত্র।

এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয় বার! আবার লখনউ সফরে যাচ্ছেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ। সব ঠিক থাকলে আগামী ২১ ও ২২ জুন লখনউ যাবেন তিনি। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং তাঁর শিবিরের টানাপড়েনের মধ্যে সন্তোষের এই সফরকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

সম্প্রতি যোগীকে দিল্লিতে তলব করেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির খারাপ ফল এবং তার পরে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে যোগী সরকারের নাজেহাল দশায় হিন্দি বলয়ের সবচেয়ে বড় রাজ্যে দলের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত আরএসএস এবং বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। আগামী বছরের গোড়ায় বিধানসভা ভোট। তাতে ভরাডুবির অর্থ ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধীদের হাত শক্ত করে দেওয়া। মোদী চাইছেন তাঁর বিশ্বস্ত প্রাক্তন আমলা আর কে সিংহকে উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী করে রাশ নিজের হাতে রাখতে। কিন্তু এখনও প্রধানমন্ত্রীর সেই পরিকল্পনায় দেওয়াল তুলে রেখেছেন যোগী।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বিজেপি তথা মোদীর ‘দূত’ হিসেবে সন্তোষের লখনউ-যাত্রা যোগীর কাছে অত্যন্ত চাপের। সেখানে তিনি বিধানসভা ভোটের জন্য প্রাথমিক কাজ শুরু করবেন বলে জানা গিয়েছে। সন্তোষ কথা বলবেন মন্ত্রী এবং রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে। পুরোটাই ঘটবে যোগীর নাকের ডগায়। মোদী-শাহেরা চাইছেন, ভোটের আগে যোগী মন্ত্রিসভায় রদবদল করে সরকারের একটা নতুন চেহারা দেওয়া হোক। সন্তোষের সফরের পরই এমনটা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশের বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, গত দেড় বছর কার্যত বিজেপির ‘বি টিম’ হিসেবে কাজ করে গিয়েছেন দলিত নেত্রী মায়াবতী এবং তাঁর বহুজন সমাজপার্টি (বিএসপি)। এখনও তিনি বিজেপিকে আক্রমণ না করে, নিশানা করছেন রাজ্যের অন্যতম বিরোধী দল অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-কে। মায়াবতীর দল থেকে বরখাস্ত হওয়া জনা পাঁচেক বিধায়ক দেখা করেছিলেন অখিলেশের সঙ্গে। এসপি-তে যোগদানের ইচ্ছাও প্রকাশ করেছিলেন তাঁরা। স্বভাবতই অখিলেশের প্রতি ক্ষুব্ধ মায়ার বক্তব্য, “এসপি-র অবস্থা এতই শোচনীয় যে সংবাদমাধ্যমে প্রাসঙ্গিক থাকার জন্য তাদের নেতা অন্য দলের বরখাস্ত হওয়া বিধায়কদের নিজের দলে ঢোকাতে চাইছেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement