যোগী আদিত্যনাথ। ফাইল চিত্র।
মে মাসের গোড়ায় উত্তরপ্রদেশে গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে ধাক্কা খেয়েছিল বিজেপি। আর তার পরেই বিধানসভার ভবিষ্যৎদ্বাণী করে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যন স্বামী। তিনি বলেছিলেন, উত্তরপ্রদেশের মোট ৪০৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৪৬টি পুরোপুরি শহরাঞ্চলের। ফলে পঞ্চায়েত ভোটের এই ফলাফল, রাজ্যের গ্রামাঞ্চলের ৩৫৭টি বিধানসভা আসনে প্রতিফলিত হবে। পঞ্চায়েতের ফলাফলের জয়-পরাজয়ের হিসেবকে বিধানসভার আসনে পরিবর্তিত করে ওই প্রবীণ বিজেপি নেতার বক্তব্য ছিল, গ্রামাঞ্চলের ৩৫৭টি বিধানসভা আসনের মধ্যে এসপি পাবে ২৪৩টি, বিজেপি মাত্র ৬৭টি। বাকিরা ৪৭টি আসন।
রাজনৈতিক সূত্রের মতে, সুব্রহ্মণ্যন স্বামী যা বলছেন তা মিলবে কি না, সেটা বলার সময় এখনও আসেনি। দশ মাস আগেকার গ্রাম পঞ্চায়েতের ফলাফলের সরাসরি প্রতিফলন না-ও পড়তে পারে বিধানসভা ভোটে। কিন্তু বিজেপির সামনে লড়াইটা যে কঠিন, তা এখনই স্পষ্ট। জুলাইয়ের ৩ তারিখে জেলা পঞ্চায়েতের অধ্যক্ষ নির্বাচন। তার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৬ জুন। সব মিলিয়ে এখন রীতিমতো যুদ্ধ-প্রস্তুতি উত্তরপ্রদেশে। এই অধ্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে রাজ্যের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটের পালা সাঙ্গ হবে। প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে বিধানসভা ভোটের।
উত্তরপ্রদেশের ৭৫টি জেলায় ৩০৫২ জন জেলা পঞ্চায়েত সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা জেলা পঞ্চায়েতের অধ্যক্ষ নির্বাচনে অংশ নেবেন। এই ভোট যদিও সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকায় হয় না, কিন্তু ঘোষিত তথ্য অনুযায়ী এসপি-র ৭৪৭ জন সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জেলা পঞ্চায়েতে। বিজেপির এই সংখ্যা ৬৯০ এবং বিএসপির ৩৮১। বিএসপি নেত্রী মায়াবতী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, জেলা পঞ্চায়েত সভাপতি পদে প্রার্থী দেবেন না। বাকি যাঁরা নির্দল হিসেবে জিতেছেন, তাঁদের মধ্যে বিজেপি সমর্থক সংখ্যাগরিষ্ঠ বলেই দাবি করছে যোগী আদিত্যনাথের দল।
এ দিকে, এসপি নেতা অখিলেশ যাদব অভিযোগ করেছেন, বিজেপি ৩ জুলাই পঞ্চায়েত অধ্যক্ষের ভোটে জেতার জন্য রাজ্য প্রশাসনের অপপ্রয়োগ করছে। রাজনৈতিক সূত্রের মতে, নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যদের সংখ্যায় যে-হেতু এসপি এগিয়ে, তাই অধ্যক্ষ নির্বাচনে তাদেরই ভাল ফল করার সম্ভাবনা বেশি। বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে এটি তাৎপর্যপূর্ণ।