—ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর সরকারের আর্থিক নীতিকে কাঠগড়ায় তুললেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা যশবন্ত সিন্হা। পূর্বসূরির বাক্যবাণ থেকে ছাড় পেলেন না মোদীর অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিন্হা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের উত্তর সম্পাদকীয়তে লিখেছেন, এক প্রকার বাধ্য হয়েই তিনি সরকারের আর্থিক নীতির সমালোচনা করছেন। কারণ, এটা তাঁর কাছে ‘জাতীয় দায়বদ্ধতা’।
যশবন্ত লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র মোদী) দাবি করেন, তিনি দারিদ্রকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন। তাঁর অর্থমন্ত্রী (অরুণ জেটলি) ওভার-টাইম কাজ করছেন এটা নিশ্চিত করতে যাতে সমগ্র দেশবাসী একই রকম ভাবে দারিদ্রকে কাছ থেকে দেখতে পারেন।’ ভারতীয় অর্থনীতি যে প্রায় খাদের মুখে, তা নিয়েও মুখ খুলেছেন যশবন্ত। পাশাপাশি মনে করিয়ে দিয়েছেন, এই সময়ে মুখ না খুললে জাতীয় দায়িত্ব পালন করতে যে তিনি ব্যর্থ সেটাই প্রমাণিত হবে। বিজেপিতে তো বটেই, গোটা দেশে প্রচুর মানুষই এ ব্যাপারে সহমত বলে লিখেছেন জশবন্ত। তাঁর মতে, মানুষ এটা নিয়ে কথা বলার সাহস পাচ্ছে না।
আরও খবর
প্রয়াত অভিনেতা দ্বিজেন বন্দ্যোপাধ্যায়
মোদী সরকারের অর্থনীতির শিরোনাম আসলে গড় জাতীয় আয় কমে যাওয়াই হওয়া উচিত বলে মনে করেন যশবন্ত। কারণ, শেষ ত্রৈমাসিকে তা নেমে ৫.৭ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। যা গত তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। এই সপ্তাহের প্রথমে সরকার একটি পাঁচ সদস্যের ‘ইকনমিক অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল’ গঠন করেছেন। যশবন্ত সেই উপদেষ্টা কাউন্সিলকেও একহাত নিয়েছেন। তাঁর লেখায়, ‘আসা করি আমাদের জন্য এই পঞ্চপাণ্ডব নয়া মহাভারত জয়লাভ করবে।’ পাশাপাশি তিনি গত বছরের নভেম্বরে মোদীর বিমুদ্রাকরণের সিদ্ধান্তকে এমন এক অর্থনৈতিক বিপর্যয় বলে উল্লেখ করেছেন, যার কোনও নিরাময় হয় না। অরুণ জেটলিকে সবচেয়ে ভাগ্যবান অর্থমন্ত্রী হিসাবে উল্লেখ করেছেন জশবন্ত। তাঁর মতে, উদারিকরণ উত্তর অর্থনীতিতে জেটলির মতো ভাগ্যবান অর্থমন্ত্রী আর কেউ নন।