কর্নেল সন্তোষ বাবু। ফাইল চিত্র।
লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছিল তাঁর। সেই কর্নেল সন্তোষ বাবুকে সোমবার মরণোত্তর মহাবীর চক্র সম্মান দেওয়ার কথা ঘোষণা সরকার। কিন্তু ছেলের বাহাদুরীর পুরস্কারে পুরোপুরি খুশি নন তাঁর বাবা বি উপেন্দ্র। তাঁর মতে, ছেলেকে পরম বীর চক্র সম্মানে ভূষিত করা উচিত ছিল সরকারের।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে উপেন্দ্র বলেন, “এমনটা নয় যে আমি খুশি হইনি। তবে ১০০ শতাংশ খুশি নই। তাঁকে আরও ভাল ভাবে সম্মানিত করা যেত। আমার মতে, নিজের কর্তব্যে অটল ছিলেন সন্তোষ বাবু। তাঁকে পরমবীর চক্র সম্মানে ভূষিত করলে আরও ভাল হত।”
গত বছরের জুনে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা বাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। সেই রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান নিহত হন। চিনা বাহিনীর বিরুদ্ধে সন্তোষ বাবু তাঁর দলবল নিয়ে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু সেই লড়াইয়ে নিহত হন তিনি। উপেন্দ্র বলেন, “তাঁর ছেলের এই অদম্য সাহসিকতা বহু মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে। বিশেষ করে যাঁরা বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত আছেন।”
১৬ বিহার রেজিমেন্টের কম্যান্ডিং অফিসার ছিলেন সন্তোষ। তাঁর বাবা উপেন্দ্র আরও বলেন, “আমার ছেলে এবং তাঁর সঙ্গীরা খালি হাতে চিনা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়েছে। বিপক্ষ বাহিনীর কয়েক জনকে খতম করে সে প্রমাণ করে দিয়েছে ভারতীয় বাহিনী চিনের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী।”
উপেন্দ্রর দাবি, তাঁর ছেলের মৃত্যুর পর বিভাগীয় সুবিধা ছাড়া পরিবার আর কিছু পায়নি। এক জন শহিদের পরিবারকে কেন্দ্র যা সহযোগিতা করে সেটুকুই পেয়েছেন তাঁরা। এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া তেলঙ্গানা সরকার ৫ কোটি টাকা, সন্তোষের স্ত্রীকে গ্রুপ-১ পদে চাকরি এবং একটি জায়গা দিয়েছে সন্তোষের পরিবারকে।