রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়ালের টুইট করা ছবি।
বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু জোড়ার প্রাথমিক কাজ শেষ হল। জম্মু ও কাশ্মীরের চন্দ্রভাগা নদীর উপর এই সেতু নির্মাণের কাজ ৩ তিন বছর ধরে চলছিল। অবশেষে মুখোমুখি জুড়তে চলেছে ইস্পাতের খিলানের দু’দিকের অংশ। বৃহস্পতিবার খবরটি টুইট করে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়াল। লিখেছেন, ‘বিস্ময়ের গাঁথুনি চলছে। চন্দ্রভাগা সেতু জুড়ছে। ভারতীয় রেল খুব শীঘ্রই তাঁদের বিস্ময়কর নির্মাণের আরও একটা মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবে’।
বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু বানানোর ভারতীয় রেলমন্ত্রকের এই প্রকল্পের বাজেট ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। উচ্চতা নদীপৃষ্ঠ থেকে ৩৫৯ মিটার। অর্থাৎ চন্দ্রভাগা নদীর উপর যদি একটা আইফেল টাওয়ার ভেবে নেওয়া হয়, তবে তারও ৩৫ মিটার উপর দিয়ে এই রেলসেতু দিয়ে যাওয়া আসা করবে ট্রেন। প্যারিসের আইফেলের উচ্চতা ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩২৪ মিটার।
আপাতত শুধু ইস্পাতের খিলান জোড়ার কাজটুকুই শেষের পথে। এখনও অনেক কাজ বাকি। যদিও টুইটারে ৪৭৬ মিটার দীর্ঘ ইস্পাতের খিলানের ছবি দিয়ে পীযূষ লিখেছেন, ‘বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু হয়ে ওঠার প্রস্তুতি সম্পূর্ণ’।
সমূদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই রেলসেতুর উচ্চতা ১৩১৫ মিটার। কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় চন্দ্রভাগা নদীর উপরের এই সেতুর উচ্চতা নিয়ে আশঙ্কা ছিল অনেকেরই। যে ভাবে কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের দৌরাত্ম্য চলে, সেখানে এই ধরনের রেলসেতুর উপর রেল চলাচল বেশ ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেছিলেন অনেকেই। এই সেতু নির্মাণের সঙ্গে জড়িত প্রযুক্তিবিদরা অবশ্য জানিয়েছিলেন, উচ্চমাত্রার বিস্ফোরণেও ক্ষতি হবে না এই সেতুর। তা ছাড়া এই সেতুর নিজস্ব নিরাপত্তাবেষ্টনীও থাকবে। সেতুটি রিখটার স্কেলের ৮ ম্যাগনিচ্যুড পর্যন্ত তীব্রতার ভূমিকম্পও সহ্য করতে পারবে বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা।