Manipur Clash

‘চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না প্রশাসন’, মণিপুর নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল সুপ্রিম কোর্ট

রাজ্যে হিংসার ঘটনায় প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের নিরাপত্তা এবং‌ পুনর্বাসন দেওয়ার ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, মণিপুর সরকারের কাছে তা জানতে চেয়েছে আদালত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২৩ ১৬:২৯
Share:

মণিপুর নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।

রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না প্রশাসন। বুধবার মণিপুর হিংসা সংক্রান্ত মামলায় এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। প্রশাসকরা যাতে চোখ বন্ধ করে না থাকেন, তা আদালত নিশ্চিত করবে বলেও জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টের তরফে। এর পাশাপাশি হিংসায় প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের নিরাপত্তা এবং‌ পুনর্বাসন দেওয়ার ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা জানতে চায় শীর্ষ আদালত।

Advertisement

বুধবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায়, সে রাজ্যের মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফসিলি জনজাতির তকমা দেওয়া নিয়ে মণিপুর হাই কোর্টের সিদ্ধান্তে তারা হস্তক্ষেপ করতে চায় না। তবে একই সঙ্গে দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, কুকি-সহ অন্য তফসিলি জনজাতিরা মণিপুর হাই কোর্টের একক বেঞ্চের এই সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করতে পারে।

বুধবার বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসিমহা এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ হিসাবে বলে, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। সুপ্রিম কোর্ট শুধু এটুকুই নিশ্চিত করতে চায় যে, রাজনৈতিক প্রশাসকরা যেন এই পরিস্থিতিতে চোখ বন্ধ করে বসে না থাকেন।” মণিপুরের পাহাড়ি অঞ্চলে জনজাতি অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে শান্তিরক্ষার জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিবকে দায়িত্ব দিয়েছে আদালত। আদালতকে দেওয়া হলফনামায় মণিপুর সরকার জানিয়েছে, হিংসায় শিকার হওয়া অন্তত ৪৬ হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হয়েছে। রাজ্য ছেড়ে অন্যত্র যেতে চাওয়া ৩ হাজার মানুষকেও ফেরার বন্দোবস্ত করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার অবশ্য সুপ্রিম কোর্ট নতুন করে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে।

Advertisement

মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির তকমাভুক্ত করার দাবি এবং তার পাল্টা জনজাতি সং‌গঠনের মিছিল— গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত ছিল উত্তর-পূর্বের রাজ্য মণিপুর। মণিপুর হিংসায় এখনও পর্যন্ত ৫০ জন মারা গিয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার। আগেই এই হিংসা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement