গুজরাত বিধানসভা ভোটে মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা এত কম! ছবি: সংগৃহীত।
গুজরাতে আসন্ন বিধানসভা ভোটে সব দলেরই বিশেষ নজর মহিলা ভোটারদের দিকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিজের রাজ্যে মহিলা ভোট পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। অথচ সেই গুজরাতেই মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা চোখে পড়ার মত কম। নির্বাচন কমিশনের হিসাব বলছে, গোটা রাজ্যে মোট ১,৬২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে মহিলা মাত্র ১৩৯ জন!
গুজরাতের ১৮২টি আসনের জন্য ভোটগ্রহণ আগামী ১ এবং ৫ ডিসেম্বর। কংগ্রেস, বিজেপি-সহ একাধিক রাজনৈতিক দল ঝাঁপিয়ে পড়েছে। প্রতিটি দলই নিজের নিজের মতো করে উন্নয়নের সওয়াল করছে। নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ইস্তাহারে লেখা হচ্ছে গাদা গাদা লাইন। আগামী দিনে নতুন গুজরাতের স্বপ্ন ফিরি চলছে জোর কদমে। কিন্তু গুজরাতের বিধানসভা ভোটে মহিলাদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি যেন প্রদীপের তলার অন্ধকারের মতোই। মোদী-রাজ্যে ১,৬২১ জন প্রার্থী লড়াই করছেন বিধানসভার ১৮২টি আসনে। তার মধ্যে মহিলার সংখ্যা মাত্র ১৩৯। অর্থাৎ সাড়ে ৮ শতাংশ। তার মধ্যে ৫৬ জন মহিলা লড়ছেন নির্দল হিসাবে।
যদিও মহিলাদের টিকিট দেওয়ার বিচারে দুই জাতীয় দল কংগ্রেস ও বিজেপি অপেক্ষাকৃত ভাল জায়গায়। নির্বাচন কমিশনের নথি বলছে, ২০১৭-এর বিধানসভা ভোটে গুজরাতে বিজেপি ১২ জন মহিলাকে প্রার্থী করেছিল। এ বার তা বেড়ে হয়েছে ১৮। কংগ্রেসের ক্ষেত্রে ২০১৭-য় মহিলা প্রার্থী ছিলেন ১০ জন, এ বার তা বেড়ে হয়েছে ১৪। দুই দলেরই মহিলা প্রার্থীদের সিংহভাগ দলিত বা আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত।
এ বিষয়ে বরোদার সায়াজিগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী আমি রাভাত বলেন, ‘‘সংসদে মহিলাদের ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের বিলটি পাস হলেই মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব বেড়ে যাবে।’’ আর বিজেপির মহিলা মোর্চার প্রধান দীপিকাবেন সারভাদা বলছেন, ‘‘বিজেপি ইতিমধ্যেই মহিলাদের সামনে আনার কাজ শুরু করে দিয়েছে। তারই উদাহরণ দেশের রাষ্ট্রপতি পদে এক জন আদিবাসী মহিলার উপস্থিতি।’’
২০১৭-য় গুজরাতে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ১,৮২৮ জন। তার মধ্যে ১২৬ জন ছিলেন মহিলা। তার মধ্যে মাত্র ১৩ জন মহিলা প্রার্থী ভোটে জিতে বিধানসভায় যেতে পেরেছিলেন। জয়ী মহিলা প্রার্থীদের মধ্যে ৯ জন বিজেপির এবং ৪ জন কংগ্রেসের। ১০৪ জন মহিলা প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল।
এ বার কী হবে? যে গুটিকয় মহিলা প্রার্থী লড়াই করছেন, তাঁদের মধ্যে কত জন জয় ছিনিয়ে আনতে পারবেন? তাঁদের লড়াই কি রাজনৈতিক দলগুলোকে আরও বেশি করে মহিলা প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে সাহায্য করবে? নাকি সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাসের দোহাই দিয়ে পরিস্থিতি একই থেকে যাবে।