‘বিকিনি কিলার’-এর দিকে বিস্ফারিত চোখে তাকিয়ে মহিলা। ছবি: টুইটার।
একটি নয়, দু’টি নয়, পর পর প্রায় ২০টির বেশি খুনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। নেপালের জেল থেকে সদ্য মুক্তি পেয়েছেন চার্লস শোভরাজ। বিমানে তাঁর একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে।
প্রায় ১৯ বছর পরে কাঠমান্ডু জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন শোভরাজ। তাঁকে ফ্রান্সে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নেপাল থেকে প্রথমে কাতার এয়ারওয়েজের বিমানে দোহা পৌঁছন শোভরাজ। তার পর সেখান থেকে প্যারিসের উদ্দেশে পাড়ি দেন তিনি।
বিমানে বসে থাকা অবস্থায় শোভরাজের যে ছবি ভাইরাল হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে বিস্ফারিত নয়নে ‘বিকিনি কিলার’-এর দিকে তাকিয়ে রয়েছেন এক মহিলা। তিনি শোভরাজের ঠিক পাশের আসনটিতেই বসেছেন। তবে তাঁর পাশে যে কুখ্যাত এক খুনি বসে রয়েছেন, তা মহিলার চাহনি থেকেই স্পষ্ট। এমনকি শোভরাজের উল্টোদিকে হেলে বসেছেন মহিলা, যেন খুনির থেকে যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করছিলেন তিনি।
মহিলার এই চাহনির ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। অনেকেই ছবিটি নিয়ে ঠাট্টা করেছেন। কেউ বলেছেন, ‘‘আমাকে যদি বিমানে কোনও সিরিয়াল কিলারের পাশে বসতে হত, আমার মুখের ভয়ের ছাপ থাকত স্পষ্ট।’’ কেউ আবার বলেছেন, ‘‘এটাই মহিলার জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দিন।’’
সত্তরের দশকে একের পর এক মহিলাকে খুনের অভিযোগ রয়েছে ফরাসি নাগরিক শোভরাজের বিরুদ্ধে। তাইল্যান্ড-সহ বিভিন্ন দেশে মহিলা পর্যটকদের মাদক খাইয়ে খুন করেছেন তিনি। অন্তত ১২টি খুনের কথা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। অভিযোগ, তাঁর অধিকাংশ শিকারের পরনেই নাকি থাকত বিকিনি। যে কারণে ‘বিকিনি কিলার’ নামেও তাঁর পরিচিতি। তাঁর জীবনের গল্প নিয়েই তৈরি হয়েছে নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ ‘দ্য সারপেন্ট’।