Crime

প্রেমে পড়ার পর প্রথম দেখা করতে গিয়েই প্রেমিকের হাতে খুন প্রেমিকা!

ফেসবুকে ওই যুবকের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তরুণীর। প্রেমিকাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই যুবককে। খুনের কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২২ ১৪:৪৩
Share:

অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।

প্রেমের ফাঁদে পড়ে প্রাণ গেল তরুণীর। উত্তরপ্রদেশের এক যুবকের সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধুত্ব হয়েছিল হায়দরাবাদের এক তরুণীর। সেই বন্ধুত্ব কিছু দিনের মধ্যেই প্রেমে গড়ায়। ন’মাস সম্পর্কে থাকার পর তাঁরা দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রেমিকের কথা মতো হায়দরাবাদ থেকে উত্তরপ্রদেশ রওনা দেন ওই তরুণী। সেখানে তাঁর মাথা ইট দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তরুণীর প্রেমিকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত প্রেমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, গত ৯ নভেম্বর উত্তরপ্রদেশের আমরোহা জেলায় একটি নিরাপত্তা সংস্থার অফিসের মধ্যে এক ২৫ বছর বয়সি তরুণীর দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতের পরিচয়পত্র দেখে পুলিশ জানতে পারে ওই তরুণী হায়দরাবাদের বাসিন্দা। উদ্ধার করা হয় তাঁর ফোন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৬ বছর বয়সি শাহজাদ নামে এক যুবকের সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয়েছিল ওই তরুণীর। তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। ন’মাস ধরে সম্পর্কে থাকার পর তাঁরা একে অপরের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন। তরুণীকে উত্তরপ্রদেশের আমরোহায় নিজের এলাকায় আসতে বলেন ওই যুবক। সেই মতো গত ৮ নভেম্বর ওই তরুণী হায়দরাবাদ থেকে উত্তরপ্রদেশে পৌঁছন।

Advertisement

তরুণীর প্রেমিক শাহজাদের রঙের দোকান রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সাক্ষাতের পর ওই যুগলের মধ্যে ঝামেলা বাধে। তাঁর মেয়েকে বিয়ের জন্য শাহজাদকে ফোনে চাপ দেন তরুণীর বাবা। সেই প্রস্তাব পত্রপাঠ নাকচ করে দেন যুবক। এ নিয়েই অশান্তি বাধে। অভিযোগ, এর পরই ইট দিয়ে তরুণীর মাথায় আঘাত করেন ওই যুবক। এর জেরে মৃত্যু হয় তরুণীর। খুনের পর তরুণীর দেহ তাঁর দোকানের পাশে একটি নিরাপত্তা সংস্থার অফিসের মধ্যে ফেলে দেন বলে অভিযোগ ওই যুবকের বিরুদ্ধে।

তরুণীর দেহ উদ্ধারের পর তাঁর পরিচয়পত্র ও মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে হায়দরাবাদে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, অভিযুক্ত যুবক মত্ত ছিলেন। কয়েক বছর আগে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছিল। গ্রেফতারের পর খুনের কথা স্বীকার করেছেন ওই যুবক, এমনটাই দাবি করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় যৌন হেনস্থার প্রমাণ মেলেনি বলে দাবি করা হয়েছে। তরুণীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement