ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে কী বললেন পিকে? — ফাইল ছবি।
তিনি ভোটে দাঁড়াচ্ছেন না। কিন্তু বিহারের মানুষের জন্য ‘ভাল বিকল্প’ খোঁজার কাজ চালিয়ে যেতে চান। স্পষ্ট করে দিলেন প্রাক্তন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। বিগত বেশ কয়েক দিন ধরে ‘জন সূরয’ অভিযানের মধ্যে দিয়ে গোটা বিহার চষে ফেলছেন প্রশান্ত। স্বভাবতই মাথাচাড়া দিয়েছে, তা হলে কি পিকে এ বার নিজেই ভোটের ময়দানে? সেই সম্ভাবনার গোড়ায় জল ঢাললেন তিনি।
সাম্প্রতিক কালে নীতীশ কুমারকে লাগাতার আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছেন একদা তাঁরই ছায়াসঙ্গী পিকে। পাল্টা পিকেকে ধান্দাবাজ বলে আক্রমণ করেছে জেডিইউ। তারও জবাব দেন পিকে। বলেন, ‘‘জেডিইউয়ের যে নেতারা আমাকে ধান্দাবাজ বলছেন, তাঁদের কাছে আমার বিনীত প্রশ্ন, আপনারা নীতীশজিকে জিজ্ঞেস করুন, দু’বছর ধরে তিনি আমাকে তাঁরই বাসভবনে থাকতে দিয়েছিলেন কেন?’’ তার পরেই আসে তাঁর ভোটে লড়ার প্রসঙ্গ। এক প্রশ্নের জবাবে পিকে বলেন, ‘‘আমি কেন ভোটে লড়তে যাব? আমার তেমন কোনও ইচ্ছে নেই।’’
বিহারের পশ্চিম চম্পারণ জেলায় তাঁর ‘জন সূরয’ অভিযান এসে পৌঁছেছে। রবিবার সেখানেই একটি সমাবেশে ‘জন সূরয’-এর কি রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা উচিত, এই প্রশ্ন জনতার সামনে রাখা হবে। এ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মতামত চাওয়া হবে। প্রসঙ্গত, বিহারে সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার পদযাত্রা করছেন পিকে। তারই নাম দেওয়া হয়েছে ‘জন সূরয’।
এই প্রসঙ্গেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন পিকে। তখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কি আবার জেডিইউতে ফেরত যাওয়ার কথা ভাবছেন? পিকের জবাব, ‘‘আমি স্বাধীন ভাবে একটি কাজ (জন সূরয) শুরু করেছি। তাই নীতীশ এবং তাঁর সঙ্গীরা আমার উপর রেগে আছেন। আমাকে ধান্দাবাজ বলা হচ্ছে। আমার বিনীত প্রশ্ন, নীতীশজিকে জিজ্ঞেস করুন, তাঁর বাসভবনে আমাকে ২ বছর কেন থাকতে দিয়েছিলেন?’’
যে নীতীশকে এখন দিনরাত আক্রমণ করে চলেছেন, একদিন তাঁরই ছায়াসঙ্গী ছিলেন পিকে। এই প্রসঙ্গে প্রশান্ত বলেন, ‘’১০ বছর আগে আমি যে নীতীশকে চিনতাম, তার সঙ্গে আজকের নীতীশের অনেক পার্থক্য। ২০১৪-য় লোকসভায় খারাপ ফলের দায় নিয়ে নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন নীতীশ। আর এখন যে কোনও উপায়ে চেয়ার আঁকড়ে ধরে রাখতে চাইছেন তিনি।’’