কুমিরের সঙ্গে লড়াই মহিলার। প্রতীকী ছবি।
নদীর পাশে ছাগল চরাচ্ছিলেন এক কৃষক। বেশ কিছু ক্ষণ ছাগল চরানোর পর তেষ্টা মেটানোর জন্য সেগুলিকে নদীতে নিয়ে যান তিনি। পাড়ের কাছে ঘোলা জলের নীচে যে ঘাপটি মেরে সাক্ষাৎ ‘যমদূত’ বসে আছে, সেটা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি ওই কৃষক।
ছাগলগুলি নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে জল খাচ্ছিল। কাছেই দাঁড়িয়েছিলেন কৃষক। তখন আচমকাই নদীর জল থেকে বেরিয়ে বিশালাকার এক কুমির কৃষকের পায়ে কামড়ে ধরে। কুমির হামলা করতেই বাঁচানোর জন্য চিৎকার করতে থাকেন কৃষক। অদূরেই ছিলেন তাঁর স্ত্রী। স্বামীর চিৎকার শুনে নদীর ধারে ছুটে আসেন তিনি। তখন দেখেন স্বামীর পা কামড়ে নদীর ভিতরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে কুমির।
এই দৃশ্য দেখে প্রথমে ঘাবড়ে যান মহিলা। তিনিও ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন প্রথমে। কিন্তু চোখের সামনে স্বামীকে ছটফট করতে দেখে আর দাঁড়াতে পারেননি। তিনিও একটি লাঠি নিয়ে নদীর জলে ঝাঁপ দেন। তার পর সেই লাঠি দিয়ে কুমিরের মাথায় আঘাত করতে থাকেন। তাতেও কুমিরটি স্বামীর পা না ছাড়ায় এ বার সেই লাঠি প্রাণীটির চোখের মধ্যে ঢুকিয়ে দেন। বেশ কিছু ক্ষণ ‘যমে-মানুষে’ রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর কৃষকের পা ছেড়ে দিয়ে পালায় কুমির। ছোটবেলায় শোনা এ রকম একটি গল্প যে বাস্তবেও ঘটে, রাজস্থানের করৌলী জেলার ঘটনা তা প্রমাণ করল।