—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
আবার উত্তরপ্রদেশের হাথরসে নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠল। ৬০ বছরের এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ২৫ বছরের এক যুবকের বিরুদ্ধে। ধরতে গিয়ে পুলিশ তাঁর পায়ে গুলি করেছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অতীতেও অপরাধে জড়িয়েছেন যুবক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে কোতোয়ালি সাসনিতে নিজের বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন ওই বৃদ্ধা। সে সময় বাড়িতে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ওই বৃদ্ধার চিৎকার করতে শুরু করলে অভিযুক্ত সেখান থেকে পালিয়ে যান। এর পরেই থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন নির্যাতিতা এবং তাঁর পরিবার। অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করে পুলিশ।
ইগলাস রোডের কাছে অভিযুক্তকে দেখতে পায় পুলিশ। তাদের দেখে পালানোর চেষ্টা করেন যুবক। পুলিশকে লক্ষ্য করে তিনি গুলি ছোড়েন বলেও অভিযোগ। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে তাঁর পায়ে লাগে। এর পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করায় পুলিশ। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। অভিযুক্তের থেকে বন্দুক, কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ অফিসার যোগেন্দ্র নারায়ণ জানিয়েছেন, ওই যুবকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে সাসনি থানায়। চুরি, ডাকাতির মামলাও রয়েছে। এর আগে থানাতেও গিয়েছিলেন তিনি।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে হাথরসে ১৯ বছরের দলিত তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযুক্ত চার জন ছিলেন উচ্চবর্ণের। গণধর্ষণের পর তরুণীকে মাঠে ফেলে পালান অভিযুক্তেরা। পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ১১ দিন পরে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয় হাথরসের দলিত তরুণীর। এ বার সেখানে নির্যাতিত ৬০ বছরের বৃদ্ধা।