দিল্লি পুলিশ ব্রেসলেটটি সাক্ষীর হাতে তুলে দিয়েছে।
কলকাতা থেকে দিল্লি বিমানবন্দরে নেমে সোজা বাড়ি চলে গিয়েছিলেন সাক্ষী লোহানি। দিনটি ছিল ৩০ মে। পর দিন হঠাৎই তিনি খেয়াল করেন হাতের দশ লাখি ব্রেসলেটটি নেই। বহুমূল্য সেই ব্রেসলেট হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েন তিনি।
কলকাতা বিমানে ওঠার সময় তাঁর হাতে ছিল ব্রেসলেটটি। বিমান থেকে দিল্লি বিমানবন্দরে নামা পর্যন্তও হাতের ব্রেসলেটটি ছিল। তা হলে কি রাস্তাতেই পড়ে গিয়েছে? না কি বিমানবন্দরের মধ্যেই কোথাও সেটি খুলে পড়েছে? এ রকম নানা দুশ্চিন্তা মাথায় ঘুরতে থাকে সাক্ষীর। আর সাতপাঁচ না ভেবে তিনি সোজা দিল্লি বিমানবন্দর থানায় হাজির হন এবং একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অনুরোধ করেন ব্রেসলেটটি খুঁজে দেওয়ার জন্য।
সাক্ষীর অভিযোগ পাওয়ার পরই বিমানবন্দর থানার পুলিশ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানায়। এর পরই সেই ব্রেসলেটের খোঁজ শুরু হয়। বিমানবন্দরের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সাক্ষী বিমানবন্দরের টি৩ টার্মিনাল থেকে তাঁর ব্যাগপত্র নিয়ে বিমানবন্দর ছেড়েছিলেন। যে কনভেয়ার বেল্ট থেকে সাক্ষী তাঁর ব্যাগ সংগ্রহ করেছিলেন, সেই কনভেয়ার বেল্টে ব্রেসলেট আটকে আছে কি না তা-ও পরীক্ষা করে দেখা হয়। তখনই দেখা যায়, বেল্টের এক কোণায় পড়ে রয়েছে ব্রেসলেটটি। তার পর সেটি সাক্ষীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বহুমূল্য সেই ব্রেসলেট হারানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত সাক্ষী। তিনি টুইট করে দিল্লি পুলিশ, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।