দিব্যা পাণ্ডে। ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা।
নামেই যত গন্ডগোল! ইউপিএসসি পরীক্ষায় পাশ করলেন এক দিব্যা, সংবর্ধনা পেলেন অন্য দিব্যা। এক জন দক্ষিণ ভারতের, অন্য ঝাড়খণ্ডের। ইউপিএসসি পরীক্ষায় পাশ করেছেন দক্ষিণ ভারতের সেই দিব্যা, আর সংবর্ধনা, শুভেচ্ছা পেয়েছেন ঝাড়খণ্ডের দিব্যা!
ঝাড়খণ্ডের রামগড়ের বাসিন্দা দিব্যা পাণ্ডে। এ বারের ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেছিলেন। কয়েক দিন আগেই সেই পরীক্ষার চড়ান্ত ফল বেরোয়। তালিকায় দিব্যার নামের পাশে লেখা ছিল— দিব্যা পি, র্যাঙ্ক ৩২৩।
সেই খবর ঝড়ের বেগে রামগড় জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। রামগড়ের ডেপুটি কমিশনার মাধবী মিশ্র তাঁর কার্যালয়ে ডেকে দিব্যাকে সংবর্ধনা দেন। দিব্যার বাবা সেন্ট্রাল কোলফিল্ড লিমিটেডের এক জন প্রাক্তন কর্মী হওয়ার সুবাদে ওই সংস্থা থেকেও আধিকারিকরা দিব্যাকে সংবর্ধিত করেন। দিব্যার পরিবার গর্ব করে সংবাদমাধ্যমে জানায়, তাদের মেয়ে প্রথম বারেই এই পরীক্ষা পাশ করেছে। শুধু তাই-ই নয়, কোনও কোচিং ছাড়াই শুধু ইন্টারনেট আর স্মার্টফোনে ভরসা করে এই পরীক্ষা ‘উতরেছেন’ দিব্যা। মেয়ের সাফল্যে বাড়িতে যখন খুশির হাওয়া বইছে, ঠিক তখনই এল খবরটা।
দিব্যার পরিবার জানতে পারে, যাঁর সাফল্যে তারা এত মাতামাতি করছে, ইউপিএসসি পরীক্ষায় পাশ করা সেই দিব্যা তাদের মেয়ে দিব্যা নন। সেই দিব্যা দক্ষিণ ভারতের। নামের জায়গায় ‘দিব্যা পি’ লেখা থাকায় একটা ভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল দিব্যার পরিবারের মধ্যে। আসল সত্যটা যখন সামনে আসে তখন চরম অস্বস্তিতে পড়েন দিব্যা এবং তাঁর পরিবার। তড়িঘড়ি দিব্যার পরিবার তাদের এই ভুলের জন্য জেলা প্রশাসন, সেন্ট্রাল কোলফিল্ড এবং সংবাদমাধ্যমের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয়।
দিব্যার দিদি প্রিয়দর্শিনী পাণ্ডের দাবি, উত্তরপ্রদেশ থেকে বোনের এক বন্ধু খবর দেন যে, দিব্যা ইউপিএসি পাশ করেছেন। তাঁর র্যাঙ্ক ৩২৩। তাঁর কথায়, “এই খবর পাওয়ার পরই আমরা ফল দেখার জন্য ইউপিএসসি-র ওয়েবসাইট দেখার চেষ্টা করি। কিন্তু ইন্টারনেট কাজ না করায় সমস্যা হয়েছিল। যার জেরেই এই বিভ্রান্তি।”
এই ভ্রান্তির জন্য দিব্যার পরিবার সকলের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। একই সঙ্গে পরিবারের দাবি, ইচ্ছাকৃত ভাবে এ কাজ করেননি। যদিও জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এটি ভুলবশত হয়ে গিয়েছে। এর জন্য কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি দিব্যা বা তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে।