স্বামীকে খুনের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিকের। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ছ’বছরের সন্তানের দেওয়া সাক্ষ্যে ধরা পড়ে গেলেন মা। আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। স্বামীকে খুনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ২০২২ সালে প্রেমিকের সঙ্গে মিলে তিনি স্বামীকে খুন করেছিলেন। তার পর সেই ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করেছিলেন। পরিবারের বাকিদের সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে। পরে ওই মহিলা এবং তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালত মহিলার পাশাপাশি তাঁর প্রেমিক, বাবা এবং ভাইকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের। অভিযুক্তের নাম রাধা দেবী। তিনি এবং তাঁর প্রেমিক কানহাইয়া কুমার মিলে ২০২২ সালে চক্রান্ত করে খুন করেন রাধার স্বামী যোগেন্দ্র কুমারকে। পুলিশ জানিয়েছে, যোগেন্দ্র বাড়ির সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পেয়েছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারী আধিকারিক এবং পরিবারের সদস্যদের কাছে দাবি করেছিলেন রাধা। কিন্তু আচমকা এই মৃত্যুতে পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। তাঁরা হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ করেন। দেহের ময়নাতদন্তের মাধ্যমে জানা যায়, যোগেন্দ্রের মাথায় গুলির ক্ষত রয়েছে।
এর পরেই রাধাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতে এত দিন ধরে সেই মামলাটি চলছিল। খুনের পরিকল্পনায় রাধার বাবা যোগেন্দ্র সিংহ এবং ভাই অনুজ কুমারের হাত ছিল বলে জানতে পেরেছিলেন তদন্তকারীরা। তাঁদেরও গ্রেফতার করা হয়। সম্প্রতি আদালতে রাধার ছ’বছরের সন্তান তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়। তার পরেই রাধা এবং বাকিদের দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, রাধা এবং কানহাইয়ার মধ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তা জানতে পেরে গিয়েছিলেন রাধার স্বামী। এর পরেই তাঁকে সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন যুগল। খুনের চক্রান্ত করেন। কী ভাবে খুনের পরেও মৃত্যুটিকে দুর্ঘটনা বলে মনে হবে, তা মাথা খাটিয়ে বার করেছিলেন রাধাই, দাবি তদন্তকারীদের।