—প্রতীকী চিত্র।
প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন। সেই সময় জোর করেই নিজেদের কয়েকটি ছবি তুলেছিলেন প্রেমিক। আপত্তি করেছিলেন তরুণী। কিন্তু প্রেমিক তা শোনেননি। তাই চুপিসারে প্রেমিকের ফোনের গ্যালারি থেকে নিজেদের ঘনিষ্ঠ ছবি ডিলিট করতে গিয়েছিলেন তরুণী। কিন্তু মোবাইলের গ্যালারি খুলে হাত কেঁপে গেল তাঁর। দেখলেন, শুধু তিনিই নন, একের পর এক মহিলার নগ্ন এবং অশ্লীল ছবি রয়েছে প্রেমিকের ফোনে। তার মধ্যে রয়েছে তাঁদের অফিসের কয়েক জন মহিলা সহকর্মীর ছবিও। বেঙ্গালুরুর ঘটনায়। তরুণীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাজ (নাম পরিবর্তিত) এবং অনিতা (নাম পরিবর্তিত) একই অফিসে কাজ করতেন। মাস কয়েক আগে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। তরুণীর অভিযোগ, কিছু দিন আগে প্রেমিকের সঙ্গে শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন। কিন্তু, সেই সময় তাঁর কিছু ছবি তুলেছিলেন প্রেমিক। তিনি বাধা দিয়েছিলেন। পরোয়া করেননি প্রেমিক।
কিন্তু অনিতা অস্বস্তিতে ভুগছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘জানতাম ঠিক নয়। তবু ওর অজান্তে ওর ফোন খুলেছিলাম। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবিগুলি ডিলিট করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, তার পর...।’’ কথা শেষ করতে গিয়ে গলা ধরা আসে তরুণীর। এখনও ঘোর কাটছে না অনিতার। আসলে প্রেমিক যে এমন মানুষ, তাঁর মধ্যে এমন এক জন লুকিয়ে আছেন, তা কল্পনাও করতে পারেননি। তিনি জানান, রাজের ফোনভর্তি মহিলাদের নগ্ন ছবি দেখে তিনি হতবাক হয়ে যান। কী করবেন, কিছু বুঝতে পারছিলেন না প্রথমে। তবে কিছু ক্ষণ পরেই ঠিক করে নেন, এর শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। কারণ, অফিসের অন্যান্য মহিলা সহকর্মীরও নগ্ন ছবি দেখেছেন প্রেমিকের ফোনে। তাই আর কেউ যাতে ‘বিকৃতি’র শিকার না হন, তারই ব্যবস্থা করতে চান তিনি। পরের দিন অফিসের ঊর্ধ্বতনকে পুরো ব্যাপারটা জানান তিনি। সব শুনে সবাই অবাক হয়ে যান। ওই অফিস থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়। অফিসের এক কর্তার কথায়, ‘‘কারও সঙ্গে কখনও খারাপ ব্যবহার করেননি ওই অভিযুক্ত। কোনও মহিলার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেননি। কিন্তু তাঁর ফোনে কেন এতগুলি আপত্তিকর ছবি রয়েছে, তাঁর উদ্দেশ্যই বা কী, সেগুলো তো জানি না। তাই থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।’’
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই যুবককে অফিস থেকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত হয়েছে তাঁর মোবাইল। পুলিশ জানিয়েছে সাইবার অপরাধের একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।