মহিলাকে মারধরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। ছবি: সংগৃহীত।
এক মহিলাকে চুল ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন কয়েক জন মহিলা পুলিশ কর্মী। এমনই একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও আনন্দবাজার অনলাইন সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। জানা যায় ভিডিয়োটি মধ্যপ্রদেশের। সেটি প্রকাশ্যে আসার পরেই মধ্যপ্রদেশ পুলিশের দিকে অভিযোগের আঙুল ওঠে। তার পরেই পুলিশ ওই মহিলাকে মারধরের কথা অস্বীকার করল। জানাল, কোনও নীতিই লঙ্ঘন করা হয়নি।
ভিডিয়োতে যে মহিলাকে মারধর করতে দেখা গিয়েছে, তাঁর নাম চায়নাবাঈ কাচি। তিনি কাটনি জেলার কৌরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। চায়নার অভিযোগ, তাঁর জমিতে বিদ্যুতের খুঁটি বসানো হলেও প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। পরে ক্ষতিপূরণ চাইতে গেলে তাঁকে পুলিশ মারধর করে। চায়না আরও জানিয়েছেন, জমিতে বুলডোজ়ার চালানোর সময় তিনি এবং তাঁর আত্মীয়েরা রুখে দাঁড়ান। সেই সময় পুলিশ তাঁকে মারধর করে। এর পরে চায়না এবং তাঁর চার আত্মীয়কে আটক করে পুলিশ।
পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে চায়না জেলাশাসক এবং জেলার পুলিশ প্রধানের দফতরে গিয়ে অভিযোগ জানান। তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, পুলিশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য জেলাশাসকের কাছে আবেদনও করেছেন তিনি। পুলিশ আধিকারিক মনোজ কেডিয়া সংবাদমাধ্যমকে জানান, বিদ্যুতের খুঁটি বসাতে বাধা দিচ্ছিলেন মহিলা। সে কারণে তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে মহিলাকে মারধর করা হয়নি। ‘‘নীতি মেনেই কাজ করেছেন মহিলা কর্মীরা।’’