স্বামী-স্ত্রী, দু’জনেই সুস্থ রয়েছেন। ছবি টুইটার।
সব অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে খাঁটি ভালবাসা। আর সেই ভালবাসার জোরেই নিজের কিডনি দিয়ে স্বামীর প্রাণ বাঁচালেন ষাটোর্ধ্ব স্ত্রী! যে কাহিনি মন ছুঁয়ে যাবে।
কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন স্বামী। ৯৮ বার ডায়ালিসিস হয়েছে তাঁর। স্বামীকে নিয়ে ডায়ালিসিস করাতে যখন নিয়ে যেতেন, তখন বাইরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করতেন স্ত্রী। কিন্তু আর কত দিন এই যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে হবে তাঁকে! এ কথা মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেতেই নিজের কিডনি দানের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন বৃদ্ধা। তার পর স্বামীকে বাঁচাতে নিজের কিডনি দান করলেন তিনি। স্বামী-স্ত্রীর এই অটুট বন্ধনের কাহিনি হৃদয় ছুঁয়েছে নেটিজেনদের।
টুইটারে নিজের বাবা-মায়ের এই নিঃস্বার্থ ভালবাসার মর্মস্পর্শী কাহিনি তুলে ধরেছেন লিও নামের এক যুবক। গোটা কাহিনি তুলে ধরার পর যুবক লিখেছেন, ‘‘এর থেকে ভাল প্রেমের কাহিনি আমার জানা নেই।’’ সত্যিই তো, প্রিয়জনের জন্য নিজের জীবনকে বাজি রেখে ক’জনই বা এমন পদক্ষেপ করতে পারেন! এমন কথাই বলছেন নেটিজেনরা।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ঘটনাটি কেরালার কোচিতে। সেখানকার এক হাসপাতালেই কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। লিওর বাবা-মা, দু’জনেরই বয়স প্রায় ৭০ ছুঁইছুঁই। কোচির হাসপাতালে তাঁরাই প্রথম প্রবীণ কিডনি গ্রহীতা ও দাতা। তবে স্বামীর জন্য কিডনি দেওয়ার ব্যাপারে মনস্থির করলেও, সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে দু’মাস সময় লেগেছিল। ওই বৃদ্ধা কিডনি দান করতে পারবেন কি না, সে নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়। শেষে চিকিৎসকদের ছাড়পত্র মেলার পরই কিডনি দানের প্রক্রিয়া সফল হয়।
লিও জানিয়েছেন, কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকারও কম। ৯৯ শতাংশ খরচই বহন করেছে বিমা সংস্থা। বর্তমানে তাঁরা দু’জনেই সুস্থ রয়েছেন। নিজের বাবা-মায়ের কাহিনি তুলে ধরে অঙ্গদানের ব্যাপারে সকলকে সচেতন হওয়ার বার্তা দিয়েছেন ওই যুবক।