নয়ডার আবাসনে হাতাহাতি। ছবি সৌজন্য টুইটার।
আবারও নয়ডা। সংঘর্ষে জড়ালেন এক অভিজাত আবাসনের বাসিন্দা এবং নিরাপত্তারক্ষীরা। গন্ডগোলের সূত্রপাত আবাসনের ‘ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি নির্বাচনকে ঘিরে।
নয়ডার হাইড পার্ক সোসাইটির ওই অভিজাত আবাসনে সভাপতি নির্বাচনে দু’জন প্রার্থী দাঁড়িয়েছিলেন। বাসিন্দাদের মধ্যে দু’টি দল আলাদা আলাদা ভাবে দুই প্রার্থীকে সমর্থন করছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের ফল বেরোতেই পরিস্থিতি বদলে যায়। এক দল অভিযোগ তোলেন, নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। আর সেই কারচুপিতে সহযোগিতা করেছেন আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীরা।
অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগের মধ্যেই দু’পক্ষই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। কথা কাটাকাটি, বচসা থেকে হঠাৎই সেই ঘটনা হাতাহাতি এবং চুলোচুলিতে গিয়ে ঠেকে। যে ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, এক দিকে নিরাপত্তারক্ষীরা, অন্য দিকে আবাসনের বাসিন্দাদের একাংশ। এক নিরাপত্তারক্ষীকে হাতে লাঠি তুলতে দেখা যায়। পরে আরও কয়েক জন লাঠি হাতে নেন। তার মধ্যেই ধাক্কাধাক্কি চলতে থাকে। এক মহিলা নিরাপত্তারক্ষীকে আবার চুল টেনে ধরেন আবাসনের এক মহিলা। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেননি আনন্দবাজার অনলাইন।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় দুই মহিলা আহত হয়েছেন। আবাসনের এক মহিলার দাবি, “নিরাপত্তারক্ষীরা হঠাৎই লাঠি নিয়ে আমাদের উপর চড়াও হন। আমরা এখানে একটা বৈঠক করছিলাম। কিন্তু সেই বৈঠক ভেস্তে দেওয়ার জন্য আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। তার পরই নিরাপত্তারক্ষীরা লোহার রড নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালান।”
পুলিশ জানিয়েছে, বিবদমান দুই দলের নেতৃত্বে ছিলেন পুষ্পেন্দ্র এবং দীনেশ নেগি। পুষ্পেন্দ্রর দলের অভিযোগ, দীনেশ নেগিকে ভোটে জেতানোর জন্য নিরাপত্তারক্ষীরা সাহায্য করেছেন। কারচুপি বাধা দিতে গেলে তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে দীনেশের পাল্টা দাবি, পুষ্পেন্দ্ররাই তাঁদের উপর হামলা চালিয়েছেন। নয়ডার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, দুই নিরাপত্তারক্ষীকে আটক করা হয়েছে।