Heart Attack

বিয়েবাড়িতে নাচতে নাচতেই হৃদ্‌‌রোগে আক্রান্ত, মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বৃদ্ধা

বিয়েবাড়িতে নাচ করার সময় আচমকা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন এক বৃদ্ধা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভোপাল শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১১:০৪
Share:

বিয়েবাড়িতে নাচ করার সময় আচমকা হৃদ্‌‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বৃদ্ধার। সংগৃহীত ছবি।

বিয়েবাড়িতে গানের তালে কোমর দোলাচ্ছেন কয়েক জন মহিলা। চার দিকে আনন্দোচ্ছ্বাস। হুল্লোড়ের মধ্যেই আচমকা নামল বিষাদের ছায়া। নাচতে নাচতেই আচমকা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে গেলেন এক বৃদ্ধা। কয়েক মুহূর্তেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন তিনি। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার বাখারি গ্রামের।

Advertisement

বুধবার রাতে বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন ৬০ বছর বয়সি ওই বৃদ্ধা। অন্য মহিলাদের সঙ্গে গানের তালে নাচ করছিলেন তিনি। আচমকাই পড়ে গিয়ে সংজ্ঞা হারান বৃদ্ধা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা ওই বৃদ্ধাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হৃদ্‌‌রোগে আক্রান্ত হয়েই ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

সম্প্রতি একই রকম বেশ কিছু ঘটনার কথা প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। গত ২৫ নভেম্বর বারাণসীতে একটি বিয়েবাড়িতে নাচ করার সময় আচমকা মৃত্যু হয় ৪০ বছর বয়সি এক ব্যক্তির। তিনিও হৃদ্‌‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন বলে জানান চিকিৎসকরা। পরের ঘটনা মধ্যপ্রদেশের। বাস চালাতে চালাতেই আচমকা হৃদ্‌‌রোগে আক্রান্ত হন চালক। স্টিয়ারিংয়ের উপর ঢলে পড়েন তিনি। নিয়ন্ত্রণহীন বাস তার পর সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা একের পর এক গাড়িতে ধাক্কা মারে। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় এক পথচারীর, আহত হন একাধিক। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, হার্ট অ্যাটাকেই চালক হরদেব পাল (৬০)-এর মৃত্যু হয়েছে। মৃত চালক ছিলেন মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের বাসিন্দা।

Advertisement

সম্প্রতি আরও একটি হৃদ্‌‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছে। সম্প্রতি কাটনির সাই মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন রাজেশ মেহানি। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সাইয়ের বিগ্রহের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে সামনে এসে দাঁড়ান। তার পর বিগ্রহের সামনে মাথা নত করে বসে পড়েন। এর পর বেশ কয়েক সেকেন্ড কেটে গেলেও মাথা তোলেননি তিনি। ১৫ মিনিট দেখার পর মন্দিরের পুরোহিতকে খবর দেন অন্য ভক্তরা। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা জানান, ‘সাইলেন্ট’ হার্ট অ্যাটাকেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

এ রকম ঘটনা সম্প্রতি আরও ঘটেছে। ভরা মণ্ডপে চলছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। চারদিকে নিমন্ত্রিতের ঢল, সাজ সাজ রব। বর অপেক্ষা করছেন কখন কনে এসে তাঁকে বরমালা পরিয়ে স্বামী হিসাবে গ্রহণ করে নেবেন। সেজেগুজে কনে এলেনও বটে, তবুও হল না মালামদল। ঘটনাটি লখনউয়ের ভাদওয়ানা গ্রামের মালিহাবাদ অঞ্চলের।

চিকিৎসকদের মতে এই সব ঘটনার নেপথ্যে সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক বা সাইলেন্ট অ্যাকিউট মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন (এসএএমআই)। ১৮ থেকে ৬০— সব বয়সিদেরই কাবু করছে এই রোগ। কেকে, সিদ্ধার্থ শুক্ল, সিদ্ধার্থ সূর্যবংশীর, রাজু শ্রীবাস্তবের উদাহরণ মৃত্যুভীতি তৈরি করছে অল্পবয়সিদের মনে। যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ আছে, রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি কিংবা যাঁদের স্থূলতার সমস্যা রয়েছে, তাঁদের হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচতে নাচতে ওই বৃদ্ধার মৃত্যুও সে দিকেই ইঙ্গিত করছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement