প্রতীকী চিত্র।
তিন সন্তানকে নিয়ে কুয়োয় ঝাঁপ দিলেন মহিলা। বাপের বাড়ি যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন তিনি। তার পর গ্রামের কুয়োর মধ্যে থেকে তাঁদের চার জনের দেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের আজমগড় জেলার নাহারপুর গ্রামের। দুই পুত্র এবং এক কন্যাকে নিয়ে সেখানেই থাকতেন প্রমীলা (৩৫)। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর সন্তানেরা হল তিন বছরের শিবাংশ, পাঁচ বছরের দিব্যাংশ এবং ১০ বছরের সালোনি। প্রত্যেকেই কুয়োর জলে ডুবে মারা গিয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, স্বামীর সঙ্গে অশান্তির জেরেই সন্তানদের নিয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই মহিলা। তাঁর স্বামী সোহনলাল কাজের সূত্রে মুম্বইতে থাকতেন। তিনি পেশায় শ্রমিক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলা তাঁর স্বামীর সঙ্গে মুম্বইয়ে গিয়ে থাকতে চেয়েছিলেন। বার বার অনুরোধ সত্ত্বেও যুবক তাতে রাজি হননি। তা নিয়েই এই দম্পতির মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত।
মঙ্গলবার দম্পতির মধ্যে এই সংক্রান্ত আলোচনা হয়। উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পর রেগে সন্তানদের নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান মহিলা। বাপের বাড়ি যাওয়ার কথা বলেই তিনি বেরিয়েছিলেন। কিন্তু তার পর থেকেই তাঁদের চার জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পুলিশ সন্ধানে নামলে বৃহস্পতিবার গ্রামের এক কুয়ো থেকে তাঁদের দেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এটি নিছক আত্মহত্যা, না নেপথ্যে অন্য কোনও ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।