Murder

প্রেমিকের জন্য আড়াই বছরের সন্তানকে খুনের পর অপহরণের অভিযোগ, সুরাতে ধৃত মহিলা

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত মহিলার নাম নয়ানা মাণ্ডবী। তিনি নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন সুরাতের দিন্দোলি এলাকায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

সুরাত শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৩ ১৬:০১
Share:

অভিযুক্ত মহিলা নয়না মাণ্ডবী(ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

প্রেমিক বলেছিলেন সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে এলে তাঁকে গ্রহণ করবেন না। তাই নিজের আড়াই বছরের সন্তানকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষেন মহিলা। প্রেমিকের দাবি মানতে শেষমেশ সন্তানকে খুন করে দেহ লোপাট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের সুরাতে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত মহিলার নাম নয়ানা মাণ্ডবী। তিনি নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন সুরাতের দিন্দোলি এলাকায়। ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে, এই অভিযোগ এনে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। অপহরণের অভিযোগ তোলেন তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে। মহিলার অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। তিনি যে জায়গায় কাজ করতেন সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা।

সেই ফুটেজ দেখে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, শিশুটি ওই নির্মাণস্থল ছেড়ে কোথাও যায়নি। ফলে এখানেই সন্দেহ গাঢ় হয় তদন্তকারীদের। স্নিফার ডগ নিয়ে এসে ঘটনাস্থল তন্ন তন্ন করেও শিশুটির হদিস পায়নি পুলিশ। এর পরই তারা মহিলার প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাঁর হদিস মেলে ঝাড়খণ্ডে। পুলিশের কাছে মহিলার প্রেমিক দাবি করেন, তিনি কোনও দিন সুরাতে যাননি। মহিলার সন্তানকে অপহরণও করেননি। সন্দেহের বশে মহিলার প্রেমিককে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। এর পর মহিলাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা। তাঁকে চেপে ধরতেই সন্তানকে খুনের কথা স্বীকার করেন। শুধু তাই-ই নয়, সন্তানকে খুনের পর তাঁর দেহ কী ভাবে লোপাট করা যায়, তার জন্য অজয় দেবগন অভিনীত হিন্দি ছবি ‘দৃশ্যম’ও দেখেন মহিলা।

Advertisement

সন্তানের দেহ কোথায় লুকিয়ে রেখেছেন তদন্তকারীরা জানতে চাইলে মহিলা তাঁদের কাছে দাবি করেন গর্ত করে পুঁতে দিয়েছেন। সেই জায়গাতে মহিলাকে নিয়েও যাওয়া হয়। মহিলার কথামতো সেই জায়গা খোঁড়া হয়। কিন্তু দেহ মেলেনি। পুলিশকে বিভ্রান্ত করার জন্য মহিলা এর পর দাবি করেন যে, সন্তানের দেহ পুকুরে ফেলেছেন। কিন্তু সেখানেও দেহ পাওয়া যায়নি। শেষমেশ আরও জেরার পর মহিলা জানান, নির্মীয়মাণ বাড়ির শৌচাগারে গর্ত করে পুঁতে দিয়েছেন সন্তানকে। সেখান থেকেই শিশুটির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement