পুলিশ সূত্রে খবর, বছর বত্রিশের রাকেশ মোহন্ত স্ত্রী নীতুদেবীকে বলেছিলেন, মেয়েকে নিয়ে তাঁর ঘর ছেড়ে চলে যেতে। কেননা তিনি বিহারে যেতে চান এবং সেখানে গিয়ে ফের বিয়ে করার চিন্তাভাবনা করছেন।
তিনি দ্বিতীয় বার বিয়ে করবেন। প্রায়শই স্ত্রীকে এ কথা শোনাতেন স্বামী। শুধু তাই নয়, স্ত্রী এবং মেয়েকে তাঁর ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার কথাও বলতেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝেমধ্যেই অশান্তি হত। কিন্তু সেই অশান্তি মঙ্গলবার চরমে ওঠে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দিন রাতে বছর বত্রিশের রাকেশ মোহন্ত স্ত্রী নীতুদেবীকে বলেছিলেন, মেয়েকে নিয়ে তাঁর ঘর ছেড়ে চলে যেতে। কেননা তিনি বিহারে যেতে চান এবং সেখানে গিয়ে ফের বিয়ে করার চিন্তাভাবনা করছেন।
এই কথা শুনে নীতুদেবীর মারাত্মক রাগ হয়। এমনিতে প্রায়শই রাকেশ তাঁকে এই কথা শোনাতেন। তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে অশান্তি হলেও তা আবার স্বাভাবিক হয়ে যেত। কিন্তু মঙ্গলবার আর নিজেকে সামলাতে পারেননি নীতুদেবী। অভিযোগ, রাকেশ বিয়ের কথা বলতেই তাঁর উপর হামলা চালান নীতুদেবী। স্বামীকে মাটিতে ফেলে তাঁর বুকের উপর চেপে বসেন। তার পর গলা টিপে ধরেন। রাকেশ নিথর হয়ে পড়লে পড়শিদের জানান, তাঁর স্বামী জ্ঞান হারিয়েছেন।
কিন্তু পড়শিদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা পুলিশে খবর দেন। তত ক্ষণে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দেন নীতুদেবী। পরে পুলিশ এসে রাকেশের দেহ উদ্ধার করে। তল্লাশি চালিয়ে নীতুদেবীকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, রাকেশ বিহারের বাসিন্দা। গুজরাতের সুরতের পালীগাম গ্রামে স্ত্রী এবং পাঁচ বছরের মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। রাকেশ দিন মজুরের কাজ করতেন। রাকেশের ভাই দশরথ মোহন্ত বৌদি নীতুদেবীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।