স্বামীকে খুনের পর কুয়োয় লুকোলেন স্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত।
টাকাপয়সা নিয়ে বচসার জেরে স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে। তার পর বাড়ির উঠোনে থাকা কুয়োর মধ্যে নেমে আত্মগোপন করার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয় স্থানীয় মহিলাদের জন্য।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঝাড়খণ্ডের দামোদরপুর ডুমরি কুলি এলাকার। ওই এলাকার একটি বাড়ি থেকে এক ব্যক্তির ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের নাম অজিত। তাঁকেই খুনের অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী সরস্বতীর বিরুদ্ধে। তাঁরে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে অজিতের বাড়ি থেকে তাঁর সন্তানদের কান্নার আওয়াজ পেয়ে প্রতিবেশীরা আসেন। তখন তাঁরা দেখেন, বারান্দায় দুই শিশু কাঁদছে। আর দরজার সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন অজিত। কিন্তু তাঁর স্ত্রীর কোনও হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। এই অবস্থা দেখে স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
কিন্তু সরস্বতী কোথায়, তাঁকে কেন দেখা যাচ্ছে না, এ নিয়ে কৌতূহল বাড়তে থাকে স্থানীয়দের মধ্যে। তাঁদের বেশির ভাগই এই ঘটনার জন্য সরস্বতীকে দায়ী করেছেন। সরস্বতীর খোঁজ শুরু করেন তাঁরা। তখনই বেশ কয়েক জন মহিলা শুনতে পান অজিতের বাড়ির কুয়োর মধ্যে জলের আওয়াজ হচ্ছে। উঁকি মারতেই তাঁরা চমকে ওঠেন। দেখেন, অজিতের স্ত্রী কুয়োর জলে গলা পর্যন্ত ডুবে রয়েছেন। এর পরই হুলস্থুল পড়ে যায়। সরস্বতীকে কুয়ো থেকে টেনে তোলা হয়। অজিতকে খুনের অভিযোগে সরস্বতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।