—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরেই আত্মীয়া ও তাঁর সঙ্গীদের দিয়ে প্রাক্তন প্রেমিককে মারধর করিয়েছেন। এমনকি, তাঁর কাছ থেকে ২১ লক্ষ টাকা-সহ ল্যাপটপ, সোনার চেনের মতো মূল্যবান সামগ্রীও হাতিয়ে নিয়েছেন। অন্ধ্রপ্রদেশের এক তরুণীর বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই তরুণী এবং তাঁর এক আত্মীয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিজয় সিংহ নামে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার এক কর্মীকে মারধর করা এবং ২১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ভাবনা রে়ড্ডিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাকড়াও করা হয়েছে ভাবনার আত্মীয়া পলা রেড্ডিকেও। বছর দেড়েক আগে ভাবনার সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশে পরিচয় হয়েছিল বিজয়ের। আদতে দু’জনেই অন্ধ্রের বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে কর্নাটকে বসবাস তাঁদের। তাঁদের সম্পর্ক বিয়ের কথা পর্যন্ত গড়িয়েছিল। তবে সম্প্রতি সে সম্পর্কে ভাঙন ধরে। বিজয়ের দাবি, ১৬ জুন তাঁকে একটি পার্টিতে ডেকেছিলেন পলা। অভিযোগ, পার্টিতে গেলে তাঁকে একটি রিসর্টে নিয়ে যান তিনি। বেঙ্গালুরু থেকে প্রায় ৫৭ কিলোমিটার দূরে চিকবল্লাপুর জেলার নন্দী হিলস থানা এলাকায় ওই রিসর্টে তাঁর উপরে চড়াও হয়ে তাঁকে বেল্ট দিয়ে পেটান পলা এবং তাঁর সঙ্গীরা। সেই অবস্থার ছবি তুলে ভাবনার মোবাইলে পাঠিয়ে দেন তাঁরা। পরের দিন ভাবনা ওই রিসর্টে আসেন। এর পর তাঁর কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকার দাবি করেন।
বিজয়ের দাবি, সে সময় তাঁর ব্যাঙ্কে ৮ লক্ষ টাকা ছিল। তা শুনে একটি ঋণপ্রদানকারী অ্যাপের মাধ্যমে ২১ লক্ষ টাকা ধার নিতে তাঁকে বাধ্য করেন ভাবনা। এর পর সেই টাকা থেকে এক আত্মীয়কে ১৫ লক্ষ এবং অন্য জনকে ৫ লক্ষ টাকা পাঠিয়ে দেন। এ ছাড়া, আরও দুই আত্মীয়কে ৫০,০০০ করে টাকা পাঠিয়েছিলেন তিনি। টাকা ছাড়াও তাঁর ল্যাপটপ, আইফোন এবং সোনার চেন লুট করে সেখান থেকে চলে যান ভাবনা। তাঁদের সম্পর্কের বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখার হুমকিও দেন।
বিজয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ১৯ জুন ভাবনা-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।