(বাঁ দিকে) গরমে কম্বল মুড়ি দিয়ে স্বস্তির ঘুম শান্তলালের। (ডান দিকে) শান্তলাল। ছবি: সংগৃহীত।
হাড়া কাঁপানো ঠান্ডায় গরম আর চামড়া পোড়ানো গরমে কনকনে ঠান্ডা। এমনটাই নাকি অনুভব করেন হরিয়ানার মহেন্দ্রগড়ের ডেরোলি আহির গ্রামের বাসিন্দা শান্তলাল! আর মহেন্দ্রগড়ের এই প্রৌঢ়ের অদ্ভুত অনুভূতি ক্ষমতা হতবাক করছে চিকিৎসকদের।
দিন হোক কিংবা রাত। গরম কালে শান্তলালের গায়ে জড়ানো থাকে একাধিক কম্বল। গরম টুপি কান পর্যন্ত ঢাকা। কাঁধের চারপাশে জড়়ানো থাকে শাল। জুনের ভ্যাপসা গরমের মধ্যেও তিনি গায়ে কম্বল, টুপি, শাল চাপিয়ে রাখেন। শান্তলালের দাবি, এই প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও তিনি নাকি শীত অনুভব করেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, গরমে তাপমাত্রা যখন ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছিল, তখনও ৪-৫টি কম্বল মুড়ি দিয়ে থাকতেন শান্তলাল। শুধু তাই নয়, কম্বলে নিজেকে আপাদমস্তক ঢেকে রাখার পর তিনি আগুন পোহাতেও বসতেন। গরমের মধ্যে তাঁকে কখনও ঘামতে দেখা যায় না বলেও দাবি স্থানীয়দের।
তবে শীতকালে চোখে পড়ে একে বারে বিপরীত দৃশ্য। হাড় কাঁপানো শীতের সকালে খালি গায়ে পুকুরে স্নান করতে যান শান্তলাল। সারাদিন শুয়ে থাকেন বরফের চাঁইয়ের উপর। উল্লেখ্য যে, ২০১৭ সালে দীর্ঘ ক্ষণ বরফের চাঁইয়ে শুয়ে নজির গড়েছিলেন তিনি।
পরিবারের সদস্যদের মতে, শান্তলালকে তাঁরা কখনও অসুস্থ হতে দেখেননি। স্থানীয়রা তাঁর নাম রেখেছেন “আবহাওয়া দফতর”। তাঁর অদ্ভুত এই ক্ষমতার জন্য জেলা প্রশাসনের তরফে শান্তলালকে এক লক্ষ টাকা পুরস্কারও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কেন শান্তলাল গরমে ঠান্ডা এবং শীতকালে গরম অনুভব করেন, সেই কারণ এখনও পর্যন্ত অজানা।
গ্রীষ্ম এবং শীতে শান্তলালের এই অদ্ভুত অনুভূতির গল্প এখন হরিয়ানা ছাড়িয়ে ধীরে ধীরে সারা দেশের আলোচনার বিষয় হয়ে উঠছে। তাঁকে পরীক্ষা করে দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরাও।