—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ট্রেনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় উঠেছিলেন মহিলা। কিন্তু সঙ্গে ছিল না টিকিট! যাত্রার মাঝপথে সংশ্লিষ্ট আধিকারিক টিকিট পরীক্ষা করতে এলে তিনি ধরা পড়ে যান। টিটিই-কে এড়াতে তাঁর হাত কামড়ে দেন অভিযুক্ত। তাঁকে আটক করা হয়েছে।
ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের বিরারগামী একটি এক্সপ্রেস ট্রেনের। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেই ট্রেনে যাচ্ছিলেন অভিযুক্ত মহিলা। তিনি ট্রেনের এসি কামরায় উঠেছিলেন। দুপুর দেড়টা নাগাদ এক মহিলা টিকিট পরীক্ষক যাত্রীদের টিকিট যাচাই করতে আসেন। ওই কামরায় পৌঁছে মহিলার কাছে টিকিট দেখতে চান তিনি। মহিলা একাই ছিলেন। তিনি টিটিই-কে জানান, তাঁর কাছে টিকিট নেই।
টিকিট না থাকায় মহিলাকে জরিমানা দিতে বলেন টিটিই। তা দিতে না পারলে ওই মহিলাকে পরবর্তী মীরা রোড স্টেশনে নেমে যেতে বলা হয়। এর পর ট্রেন থেকেই নিজের স্বামীকে ফোন করেন ওই মহিলা। সমস্যার কথা জানান। টিটিই জানিয়েছেন, মহিলার কথা শুনে তাঁর স্বামী তৎক্ষণাৎ একটি এসি কামরার টিকিট কাটেন এবং হোয়াট্সঅ্যাপে তা স্ত্রীকে পাঠান। সেই টিকিট টিটিই-কে দেখান মহিলা।
কিন্তু টিকিট পরীক্ষক যাত্রীকে মনে করিয়ে দেন, ট্রেনে উঠে পড়ার পর টিকিট কাটা যায় না। যাত্রা শুরুর আগেই সেই টিকিট কাটতে হয়। এ নিয়ে মহিলার সঙ্গে টিটিইর বচসা শুরু হয় চলন্ত ট্রেনে। অভিযোগ, পরবর্তী স্টেশনে ট্রেন থামলে যাত্রীকে জোর করে নামিয়ে দিতে গিয়েছিলেন টিটিই। তখনই তাঁর হাত কামড়ে দেন অভিযুক্ত।
রেল পুলিশকে খবর দিয়ে ওই মহিলাকে তাদের হাতে তুলে দেন টিটিই। তাঁকে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় আটক করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট টিটিইর হাতে কামড়ের দাগ স্পষ্ট ফুটে উঠেছিল। স্টেশনেই তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, স্টেশনের এক কিলোমিটারের মধ্যে থেকে অনলাইনে টিকিট কাটার অনুমতি দেন না রেল কর্তৃপক্ষ। বিনা টিকিটে ধরা পড়লে অনেক ক্ষেত্রেই যাত্রীরা বন্ধু বা আত্মীয়স্বজনকে দূর থেকে অনলাইনে টিকিট কেটে দিতে বলেন বলে অভিযোগ।