Lakhimpur Kheri

Lakhimpur Kheri: লখিমপুর খেরি-কাণ্ডের সাক্ষীকে নিশানা করে গুলি, তদন্তের দাবিতে সরব বিরোধীরা

গত বছরের ৩ অক্টোবর লখিমপুর খেরিতে গাড়ি চাপা দিয়ে কৃষক হত্যার অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে আশিসের বিরুদ্ধে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখিমপুর খেরি শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২২ ২১:৩৫
Share:

অজয় এবং আশিস মিশ্র।

লখিমপুর খেরি কাণ্ডের সাক্ষীর উপর গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল। যদিও বাইক আরোহী দুষ্কৃতীদের নিশানা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছেন তিনি।

পুলিশ সূত্রের খবর, বুধবার থানায় দায়ের করা এফআইআরে জেলার কৃষক নেতা দিলবাগ সিংহ জানিয়েছেন মঙ্গলবার গভীর রাতে বাড়ি ফেরার সময় আক্রান্ত হন তিনি। আলিগঞ্জ-মুঢ়া সড়কের উপর গোলা কোয়োয়ালি এলাকায় আচমকাই তাঁর গাড়ি লক্ষ করে গুলি চালায় দুই বাইক আরোহী দুষ্কৃতী। কৃষক সংগঠন ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন (টিকায়েত)-এর লখিমপুর জেলা সভাপতি দিলবাগের দাবি, তিনি লখিমপুর খেরি হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী হওয়ার কারণেই এই হামলা।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশের বিরোধী দলনেতা তথা সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব বুধবার বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলেকে বাঁচাতেই লখিমপুর খেরি গণহত্যার সাক্ষীকে খুন করার চেষ্টা হয়েছে। ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন (টিকায়েত)-এর প্রধান রাকেশ টিকায়েত ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, দিলবাগের গাড়িটি পরীক্ষার জন্য ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দল আনা হচ্ছে।

লখিমপুর খেরিতে গত বছরের ৩ অক্টোবর চার জন কৃষক ও এক সাংবাদিকদের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে মেরে ফেলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে আশিস। ওই ঘটনার পর যে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে, তাতে প্রাণ হারান আরও তিন জন। ওই ঘটনায় আশিস এবং তাঁর সঙ্গী অঙ্কিতের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী কৃষকদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোরও অভিযোগ ওঠে। যদিও মন্ত্রী অজয়ের দাবি, ঘটনার সময় ওই গাড়িতে ছিলেন না আশিস। গত ৯ অক্টোবর আশিসকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তার কয়েক দিন পরেই উদ্ধার করা হয় তাঁর বন্দুক।

Advertisement

গত ১০ ফেব্রুয়ারি ইলাহাবাদ হাই কোর্টের লখনউ বেঞ্চ আশিসের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিল। এর পরই আশিসের জামিনে মুক্তির প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। গত ১৮ এপ্রিল ইলাহাবাদ হাই কোর্টের নির্দেশ খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, আশিসকে জামিন দেওয়া যাবে না। এর পর ফের আত্মসমর্পণ করে জেলে যান আশিস।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement