জামিয়া মিলিয়ার পাশে থাকার বার্তা জন কিউস্যাকের। ছবি: সংগৃহীত
দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার ছাত্র আন্দোলন ঘিরে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিবাদের চেহারাটা ক্রমশ জমাট বাঁধছে। ইতিমধ্যেই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন বলিউডের অনেকে। এ বার পাশে দাঁড়ানোর বার্তা এল হলিউড থেকেও। জামিয়া মিলিয়ার ছাত্রছাত্রীদের সমর্থনে টুইটারে ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন হলিউড স্টার জন কিউস্যাক।
সোমবার টুইটারে করা ওই পোস্টে জামিয়া মিলিয়ার পড়ুয়াদের প্রতি ‘সহমর্মিতা’ জানিয়েছেন কিউস্যাক। বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে জখম পড়ুয়াদের একটি ভিডিয়োও শেয়ার করেছেন তিনি। ঘটনার নিন্দা করেছেন ওই হলিউড অভিনেতা। একই সঙ্গে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে ক্যালিফোর্নিয়ার নাগরিকদের একটি প্রতিবাদের ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি।
জামিয়া মিলিয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বলিউডের অনেকেই। মোদী সরকারকে ‘ফ্যাসিস্ত’ বলে আক্রমণ শানিয়ে টুইট করেছেন চলচ্চিত্র পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ। লিখেছেন, ‘বিষয়টা অনেক দূর গড়িয়েছে…এখন আর চুপ থাকতে পারলাম না। এই সরকার সম্পূর্ণ ভাবেই ফ্যাসিস্ত…এটা দেখে আমি ক্ষিপ্ত যে যাঁরা পরিবর্তন আনতে পারতেন তাঁরা চুপ করে রয়েছেন।’
আরও পড়ুন: ভেবেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তত নিরাপদ থাকব, বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন জামিয়ার পড়ুয়া
পডুয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ‘নিউটন’-এর অভিনেতা রাজকুমার রাও-ও। জামিয়া মিলিয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে পুলিশ যে ব্যবহার করেছে আমি তার তীব্র নিন্দা করেছি। গণতন্ত্রে নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার আছে। সরকারি সম্পত্তি বিনষ্ট করারও নিন্দা করছি। হিংসা কোনও সমস্যার সমাধান নয়।’
আরও পড়ুন: জামিয়ার সমর্থনে দেশের নানা প্রান্তে পথে নামলেন ছাত্রছাত্রীরা, ধর্নায় প্রিয়ঙ্কা গাঁধীও
ইতিপূর্বে এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন অধিনেত্রী সায়নী গুপ্তও। কয়েক দিন আগেই মোদীর সঙ্গে একসারিতে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছিলেন বলিউডের এক ঝাঁক অভিনেতা-অভিনেত্রী। টুইটে তাঁদের নিশানা করে সায়নী খোঁচা দিয়েছেন, ‘জামিয়া ও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পক্ষ থেকে বলতে চাই, আপনাদের এক জনও যদি পুলিশি বর্বরতা ও হিংসার কথা মোদীকে টুইট বা মেসেজ করে জানাতেন!’
আরও পড়ুন: ‘ভুল করে’ জামিয়ার ছাত্রদের নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক পোস্টে ‘লাইক’! ক্ষমা চাইলেন অক্ষয় কুমার
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে গত পাঁচ দিন ধরেই সরব জামিয়ার ছাত্রছাত্রীরা। রবিবার তাঁরা পথে নামলে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে। বহু বাস জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, উন্মত্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিও চালায় পুলিশ। তার রেশ ধরেই রাতে ফের গোলমাল বাধে জামিয়ার ক্যাম্পাসে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, রবিবার রাতে দিল্লি পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে পড়ুয়াদের নির্বিচারে মারধর করে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে দেশ জুড়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই শুরু হয়েছে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ।