Priyanka Gandhi Vadra

Priyanka Gandhi Vadra: সক্রিয় বিজেপি, কাল লখনউয়ে প্রিয়ঙ্কা

দীর্ঘদিনের তোড়জোড়ের পরে কংগ্রেসের উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা বঢরা এ বার চলেছেন লখনউয়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২১ ০৭:১২
Share:

—ফাইল চিত্র।

মে মাসে পঞ্চায়েত ভোটে ধাক্কা খাওয়ার পরে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব আপৎকালীন ভিত্তিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন উত্তরপ্রদেশ নিয়ে। কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব এবং আরএসএসের তত্ত্বাবধানে কৌশল তৈরি করার পাশাপাশি তার বাস্তবায়নও হতে দেখা যাচ্ছে। দফায় দফায় বিজেপি নেতারা এলাকা ভাগ করে চষে ফেলছেন মাটি। অন্য দিকে দীর্ঘদিনের তোড়জোড়ের পরে কংগ্রেসের উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা বঢরা এ বার চলেছেন লখনউয়ে। আগামী ১৪ জুলাই তিনি লখনউতে যাচ্ছেন, বাইশের বিধানসভা ভোটের আগে ‘মিশন উত্তরপ্রদেশ’ শুরু করতে।

Advertisement

আজ কংগ্রেসের উত্তরপ্রদেশ সংক্রান্ত পরামর্শদাতা পরিষদের (অ্যাডভাইসরি কাউন্সিল) সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠক করেছেন প্রিয়ঙ্কা। কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের জানিয়েছেন, পেট্রোপণ্যের আকাশছোঁয়া দাম, কৃষকদের দুরবস্থা, কোভিডের দ্বিতীয় ধাক্কায় বেসামাল অসহায় মানুষের সঙ্কট, পঞ্চায়েত ভোটে ঘটে যাওয়া হিংসার বিষয়গুলিকে সামনে নিয়ে এসে প্রচার করতে।

অন্য দিকে গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি-র ধাক্কা খাওয়া গড় পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের ক্ষোভ নিরসনে আক্ষরিক অর্থেই ঝাঁপিয়েছে বিজেপি। রাজ্যের বিজেপি সভাপতি স্বতন্ত্র দেব সিংহ বরেলী, মুজফ্‌ফরনগর, সহারনপুরের মতো জেলাগুলিতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন গত তিন দিন ধরে। সেখানকার জাঠ সম্প্রদায়ের আস্থা অর্জনই তাঁর লক্ষ্য বলে জানাচ্ছে স্থানীয় সূত্র।

Advertisement

এ ছাড়া কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে যাঁরা মারা গিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তাঁদের পরিবারের কাছে পৌঁছচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর দাবি, দল যতটা পারে তাঁদের সাহায্য করবে। বিশেষত যে সব বিজেপি কর্মীরা কোভিডে মারা গিয়েছেন, তাঁদের সাহায্যের জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা হচ্ছে বলে জানাচ্ছে উত্তরপ্রদেশ বিজেপি। স্বতন্ত্র দেব সিংহের কথায়, “যাঁরা নিকটজনকে হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের পাশে রয়েছে দল। ভবিষ্যতে তাঁদের জন্য কী করা যায় তা নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে।”

সদ্যসমাপ্ত ব্লক পঞ্চায়েত অধ্যক্ষ নির্বাচনে বিজেপি ব্যাপক হিংসার আশ্রয় নিয়েছে বলে গত কালই অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস এবং তৃণমূল। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী চোখে ঠুলি পরে রয়েছেন বলে উত্তরপ্রদেশের ঘটনা দেখতে পাচ্ছেন না। অভিযোগ, ১৮টি জেলায় পুলিশ-প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে একের পর এক বুথ দখল করেছে বিজেপি। মারধর করা হয়েছে সাংবাদিক এবং বিরোধী প্রার্থী-সমর্থকদের। আজ দলের নেতাদের সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠকে বিষয়টির উপরে জোর দিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। বলেছেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচন চলাকালীন হিংসার ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে। বিজেপি কর্মীরা বুলেট এবং পাথর দিয়ে আক্রমণ করেছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement