(বাঁ দিক থেকে ডান দিক) শরদ পওয়ার, অজিত পওয়ার এবং নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
এনসিপি-তে ভাঙন ধরিয়ে কাকা শরদ পওয়ারকে ছেড়ে মহারাষ্ট্রে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন ভাইপো অজিত পওয়ার। এনসিপি-র এই মুষল পর্বের মধ্যে একই মঞ্চে কাকা, ভাইপো এবং খোদ নরেন্দ্র মোদীকে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনায় নড়ে বসেছে মহারাষ্ট্রের তথা জাতীয় রাজনৈতিক মহল। তবে শরদ পওয়ার শেষ পর্যন্ত ওই অনুষ্ঠানে যাবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছে স্থানীয় সূত্র।
অগস্টের এক তারিখ লোকমান্য তিলকের ১০৩তম প্রয়াণবার্ষিকীতে মহারাষ্ট্রের পুণেতে তাঁর নামাঙ্কিত পুরস্কারে সম্মানিত করা হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। পুরস্কার প্রদানকারী তিলক স্মারক মন্দির ট্রাস্টের প্রধান দীপক তিলকের দাবি, মোদী সরকারের ‘আত্মনির্ভর ভারত’ অভিযানে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটেছে। তাঁর মতে, বিশ্ব মানচিত্রে ভারতকে উজ্জ্বল ভাবে তুলে ধরতে সফল কেন্দ্রীয় সরকার। আর সেই কারণেই মোদীকে এই সম্মান জানানো হবে।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে শরদ পওয়ারকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিত অজিত পওয়ারও। সংগঠনের তরফে যে অতিথি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল রমেশ বইস, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্দে এবং দুই উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস ও অজিত পওয়ার। সম্প্রতি দুর্নীতি নিয়ে মোদীকে একহাত নিয়েছিলেন শরদ। আর সেই আবহেই উপমুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন অজিত। এমন পরিস্থিতিতে পয়লা অগস্ট গোটা দেশের চোখ থাকবে পুণের অনুষ্ঠানের দিকে।
২ জুলাই এনসিপিতে বিদ্রোহ ঘোষণা করে অনুগত বিধায়কদের নিয়ে একনাথ শিন্দে মন্ত্রিসভায় যোগ দেন অজিত পওয়ার। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি। তার পরেই এনসিপি-র দাবিদার দুই শিবিরের মধ্যে শুরু হয় স্নায়ুর লড়াই। পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে কাকা শরদ পওয়ারের বয়স নিয়ে ভাইপো অজিতের কটাক্ষের পর। এ নিয়ে কাকা-ভাইপো বিরোধ চরম আকার নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দুই নেতা আদৌ মুখোমুখি হবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই বিষয়ে অবশ্য প্রকাশ্যে কোনও কথা বলছেন না শরদ এবং অজিত শিবিরের নেতারা।